ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

বাঁচা-মরার ম্যাচে কঠিন টার্গেট পেল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক

স্পোর্টস ডেস্ক

অক্টোবর ১২, ২০২২, ১০:১০ এএম

বাঁচা-মরার ম্যাচে কঠিন টার্গেট পেল বাংলাদেশ

ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। বুধবার ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করেছে স্বাগতিকরা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৮ রানের বড় সংগ্রহ জমা করেছে তারা। ফলে বাঁচা-মরার ম্যাচে কঠিন টার্গেট পেল বাংলাদেশ।

বুধবার (১২ অক্টোবর) ক্রাইস্টচার্চের হেগলি ওভালে ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায়। সরাসরি দেখাচ্ছে টি-স্পোর্টস ও পিটিভি স্পোর্টস।

ওপেনার ডেভন কনওয়ে হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে গড়ে দিলেন শক্ত ভিত। সেখানে দাঁড়িয়ে তাণ্ডব চালালেন গ্লেন ফিলিপস। বাংলাদেশের বোলারদের কচুকাটা করে রানের পাহাড় গড়েছে নিউজিল্যান্ড। শুরু থেকে সফরকারী বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে স্বাগতিকরা সংগ্রহ করেছে ২০৮ রান। তাই জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ২০৯ রান।

কিউইদের পক্ষে ৪০ বলে সর্বোচ্চ ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন ছন্দে থাকা কনওয়ে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ষষ্ঠ ফিফটির স্বাদ নেন তিনি। এই বাঁহাতি তারকার ব্যাট থেকে আসে ৫ চার ও ৩ ছক্কা। চারে নেমে ফিলিপস ২৫০ স্ট্রাইক রেটে খেলেন। তিনি করেন ৬০ রান। মাত্র ২৪ বল মোকাবিলায় ২ চার ও ৫ ছক্কা হাঁকান তিনি।

ব্যাটিংয়ের জন্য সহায়ক উইকেটে ধুঁকেছেন বাংলাদেশের ছয় বোলারের সবাই। পেসার কিংবা স্পিনার, কেউই পাত্তা পাননি নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের সামনে। পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ছিলেন সবচেয়ে সফল। তবে ৪ ওভারে ২ উইকেট নিতে তিনি খরচ করেন ৩৭ রান। সমান সংখ্যক উইকেট নিতে পেসার ইবাদত হোসেন দেন ৪০ রান।

সাকিব উইকেটশূন্য থাকেন ৪০ রান দিয়ে। বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম ৪১ রানে নেন ১ উইকেট। ২ ওভার করে হাত ঘোরানোর সুযোগ পান সৌম্য সরকার ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। সৌম্য ২১ ও মোসাদ্দেক ২৪ রান দেন।

প্রথম ১০ ওভারে ৮৭ রান তোলা কিউইরা পরের ১০ ওভারে আনে আরও ১২১ রান। বিশেষ করে, ইনিংসের শেষভাগে তারা ছিল দুর্ধর্ষ। শেষ ৫ ওভারে বাংলাদেশ ৩ উইকেট তুলে নিলেও রানের চাকায় লাগাম পরাতে পারেনি। সেসময়ে নিউজিল্যান্ড তোলে ৬৫ রান।

শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হন ফিন অ্যালেন। এই ডানহাতি ওপেনার প্রতি ওভারেই আনতে থাকেন বাউন্ডারি। ফলে উড়ন্ত শুরু পায় নিউজিল্যান্ড।

ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ভাঙে ৪৫ রানের উদ্বোধনী জুটি। শরিফুল ইসলামের বলে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ইয়াসির আলি রাব্বির হাতে ক্যাচ দেন অ্যালেন। ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। মাত্র ১৯ বল খেলে মারেন ৩ চার ও ২ ছক্কা।

সিরিজে প্রথমবারের মতো খেলতে নামা মার্টিন গাপটিল এরপর সঙ্গী হন কনওয়ের। দ্বিতীয় উইকেটে আসে ৫৪ বলে ৮২ রানের বড় জুটি। ধীর গতিতে শুরুর পর গাপটিল থামেন ২৭ বলে ৩৪ রানে। ইবাদতের ফুল টসে লং অনে নাজমুল হোসেন শান্তর তালুবন্দি হন তিনি। এর আগেই ৩০ বলে ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন কনওয়ে।

ক্রিজে গিয়েই মারতে থাকেন ফিলিপস। প্রথম কনওয়ের সঙ্গে ১৭ বলে ৩৪ ও পড়ে জেমস নিশামের সঙ্গে ১৮ বলে ৪২ রান যোগ করেন তিনি। দুই জুটিতেই তার সঙ্গীদের ভূমিকা মূলত ছিল দর্শকের। মাত্র ১৯ বলে হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করা ফিলিপস বিদায় নেন শেষ ওভারে। তাকে বোল্ড করে দেন ইবাদত।

এর আগে ১৭তম ওভারে জোড়া শিকার করেন সাইফউদ্দিন। প্রথম বলে সীমানার কাছে কনওয়ে ক্যাচ দেন। আর চতুর্থ বলে মার্ক চ্যাপম্যান হারান স্টাম্প। ওই ওভারে মাত্র ৫ রান দেন সাইফউদ্দিন।

আজকের ম্যাচে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড একাদশে তিনটি করে পরিবর্তন করেছে। বাংলাদেশ মেহেদী হাসান মিরাজ, হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদকে বিশ্রাম দিয়ে দলে নিয়েছে সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও এবাদত হোসেনকে। প্রায় এক বছর পর জাতীয় দলের একাদশে ফিরলেন সৌম্য সরকার। সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন দুবাইয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০২১ সালের নভেম্বরে।

অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন, দুই ম্যাচ পর দলে ফেরা মিচেল স্যান্টনার ও ব্লেয়ার টিকনারকে বিশ্রাম দিয়ে দলে ফেরানো হয়েছে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মার্টিন গাপটিল, অ্যাডাম মিলনে ও ট্রেন্ট বোল্টকে।

এআই

Link copied!