ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

কৃতজ্ঞতা প্রকাশে আল্লাহ খুশি হয়ে বাড়িয়ে দেন নিয়ামত

আমার সংবাদ ধর্ম ডেস্ক

মে ৮, ২০২৩, ১১:০২ এএম

কৃতজ্ঞতা প্রকাশে আল্লাহ খুশি হয়ে বাড়িয়ে দেন নিয়ামত

আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘যদি তোমরা আমার নিয়ামাতরাজির অস্বীকার করো, তবে জেনে রাখো নিশ্চয় আমার শাস্তির বিধান অবশ্যই কঠিন। ’ সূরা ইবরাহিম-৭

আল্লাহতায়ালা মানবজাতিকে শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। সেই সঙ্গে দান করেছেন অগণিত নিয়ামত। এ বিষয়ে কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আমি আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি, আমি তাদের স্থলে ও জলে চলাচলের বাহন দান করেছি; তাদের উত্তম জীবনোপকরণ প্রদান করেছি এবং তাদের অনেক সৃষ্ট বস্তুর ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি। ’ সূরা ইসরা-৭০

এ প্রসঙ্গে কুরআনের অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে, ‘আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে।’ সূরা ত্বীন-৪

বস্তুত আল্লাহতায়ালা বাকি সৃষ্টিকে মানুষের সেবা ও উপকারার্থে সৃষ্টি করেছেন। চাই মানুষ আল্লাহর অনুগত হোক বা অবাধ্য। অবশ্য আল্লাহর কাছে তার প্রিয় বান্দাদের জন্য পরকালীন জীবনে যা রয়েছে তা অনেক শ্রেষ্ঠ।  

কুরআনে কারিমে এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষের জন্য সুশোভিত করা হয়েছে প্রবৃত্তির ভালোবাসা- নারী, সন্তানাদি, রাশি রাশি সোনা-রুপা, চিহ্নিত ঘোড়া, গবাদিপশু ও শস্যক্ষেত। এগুলো দুনিয়ার জীবনের ভোগসামগ্রী। আর আল্লাহ, তার কাছে রয়েছে উত্তম প্রত্যাবর্তনস্থল।’ সূরা আলে ইমরান-১৪

করুণাময় আল্লাহতায়ালার দয়া-অনুগ্রহ যদি শুধুমাত্র তার অনুগত বান্দাদের মধ্যে সীমিত থাকত, তবে এ পৃথিবী শুধুমাত্র তার অনুগত বান্দাদের দ্বারা পরিপূর্ণ থাকত। কিন্তু বিষয়টি এমন নয়। দুনিয়ায় আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামতরাজি মুসলিম-অমুসলিম, মুত্তাকি-পাপী সবার জন্য সমান। পার্থিব জীবনে আল্লাহর দয়া-অনুগ্রহ উন্মুক্ত, অফুরান। আর এ জন্যই তিনি রাহমান।
সৃষ্টির সূচনা থেকে নিয়ে প্রতিটি মুহূর্ত আমরা আল্লাহর নিয়ামতরাজির মধ্যে ডুবে আছি। এসব নিয়ামত আমাদের কষ্টার্জিত নয়; না চাইতেই পেয়েছি। তাই আমাদের বিবেক-হূদয়ে টনক নড়ে না। আমরা ঘুণাক্ষরেও ভাবী না।

অথচ আমরা যদি আল্লাহ প্রদত্ত কোনো একটা নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনার্থে গোটাজীবন সেজদায় পড়ে থাকি তবুও তা যথেষ্ট হবে না। ইসলামি স্কলারদের অভিমত হলো- এসব বিষয়ে মানুষের একটু চিন্তা-ভাবনা, জীবনে আল্লাহর আরও অনেক অনুগ্রহ প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে দিতে পারে। বিষয়টি কুরআনে আল্লাহ বলেছেন এভাবে, ‘তোমারা আমার নিয়ামতরাজির কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করো, আমি অবশ্য অবশ্যই তোমাদের জন্য আমার নিয়ামত বাড়িয়ে দেবো। ’ সূরা ইবরাহিম-৭

বর্ণিত আয়াত মানুষকে শিক্ষা দেয়, ছোট-বড় প্রতিটি নেয়ামতের জন্য আল্লাহর দরবারে সন্তুষ্টচিত্তে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা।  
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সুস্থতার জন্য আন্তরিকতার সঙ্গে আলহামদুলিল্লাহ বলা এবং সময়কে অযথা নষ্ট না করে আল্লাহর ইবাদতে ব্যয় করা। ধন-সম্পদের জন্যও আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি সামর্থ্যানুযায়ী সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করা।  

ইসলামের শিক্ষা হলো- সুখ-দুঃখ, সচ্ছলতা-দারিদ্র্যতা, সুস্থতা-অসুস্থতা তথা সর্বাবস্থায় শোকরগুজার থাকা।  
এ বিষয়ে হজরত রাসূলুল্লাহ সা.-এর আদর্শ হলো, ‘আলহামদুলিল্লাহ আলা কুল্লি হাল’ তথা সর্বাবস্থায় সব প্রশংসা শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য। অর্থাৎ সুখে-দুঃখে জীবনের ওপর সন্তুষ্ট থাকা। আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা।
 

Link copied!