ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad
এনআরবিসি ব্যাংকে অনিয়ম

সব জেনেও চুপ ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

জাহাঙ্গীর আলম আনসারী

জাহাঙ্গীর আলম আনসারী

মার্চ ২৫, ২০২৪, ১২:১১ এএম

সব জেনেও চুপ ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
  • বিধি লঙ্ঘন করে পদোন্নতি ও ইনক্রিমেন্ট
  • পর্ষদ সভায় অতিরিক্ত ব্যয় বিধিবহির্ভূতভাবে 
  • দুই অফিস ব্যবহার চেয়ারম্যানের
  • নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম

এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমালসহ কয়েকজন পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, বিধি লঙ্ঘন করে পদোন্নতি ও ইনক্রিমেন্ট প্রদান, পর্ষদ সভায় অতিরিক্ত ব্যয়, কোম্পানি খুলে তার মাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংকে চার হাজার চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ দেয়ার প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া একই দিন সকালে লিখিত পরীক্ষা নিয়ে বিকেলে মৌখিক পরীক্ষা নেয়া এবং চেয়ারম্যানের ব্যবসায়িক অংশীদারের নামে বাজেয়াপ্তযোগ্য শেয়ারের মালিকানা নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ ছাড়া, ব্যাংকের কার্যক্রমে অন্যায়ভাবে তাদের হস্তক্ষেপ করার অভিযোগও উঠেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। ওই প্রতিবেদনের একটি কপি দৈনিক আমার সংবাদের হাতে এসেছে।

অপরদিকে, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আর্জু ও এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান আদনান ইমামের অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি  ব্যাংকটির উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার তোহেল আহমেদ, উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার সোনাওর আলী, উদ্যোক্তা পরিচালক মো. এনায়েত হোসেন, উদ্যোক্তা পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, উদ্যোক্তা পরিচালক সারোয়ার জামান চৌধুরী, উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার এস এম গোলাম রব্বানী চৌধুরী ও উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার সাখাওয়াত আলী একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। চিঠিটি তারা ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম আউলিয়া, অর্থমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বিএফআইইউর প্রধান, বাংলাদেশ ব্যাংকের এফআইসিএসডির পরিচালক, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের পরিচালককে দিয়েছেন।

এদিকে, ২০২২ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টের (এফআইএসডি) পক্ষ থেকে পরিদর্শন করা হলেও এখন পর্যন্ত এনআরবিসির চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট পরিচালকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এনআরবিসি ব্যাংকের সব অনিয়ম জানার পরও রহস্যজনক কারণে ব্যাংকটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগও উঠেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিরুদ্ধে। সব কিছু জেনেও এতদিন ধরে চুপ ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ বিষয়ে কথা বললে এনআরবিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক মো. এনায়েত হোসেন বলেন, আমরা একাধিকবার অভিযোগ করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও ম্যানেজ হয়ে যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সবই জানে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতো তাহলে পরিস্থিতি এ পর্যায়ে আসত না।

এদিকে, বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বেশির ভাগ নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে এনআরবিসি ব্যাংকের বিরুদ্ধে। জনপ্রতি ৬ থেকে ৯ লাখ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে এমন একটি অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিদর্শন করে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শনে উঠে আসে, ১০৫ জন ট্রেইনি অফিসার নিয়োগের জন্য অনলাইনে আবেদন নেয়া হয়। ২০২২ সালের ৯ এপ্রিল পরীক্ষার জন্য মোট ৩০৪ প্রার্থীকে আমন্ত্রণ জানায় ব্যাংক।

সকালে লিখিত পরীক্ষা নিয়ে অস্বাভাবিক দ্রুততায় একই দিন বিকেলে মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়। যাদের নিয়োগ দেয়া হয়, তাদের মধ্যে ৯৬ জনের চাকরির বয়স শেষ পর্যায় তথা ২৯ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। চারজনের বয়স-সংক্রান্ত কোনো তথ্য ছিল না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শক দল বলেছে, নির্বাচিত অধিকাংশের বয়স ২৯ বছরের বেশি হওয়া অস্বাভাবিক। এতে প্রমাণিত হয়, পূর্বনির্ধারিত ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতেই এমন পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়া ১৫ জনের অনলাইন আবেদনও পাওয়া যায়নি। যদিও চেয়ারম্যানের টাকা নেয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি, তবে পরীক্ষা নেয়ার অস্বচ্ছ প্রক্রিয়া ও অপেশাদারিত্বের সঙ্গে প্রার্থী নির্বাচন করায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়। তারপর, এনআরবিসি ব্যাংকের মানবসম্পদ নীতিমালা অনুযায়ী, কর্মমূল্যায়নের ভিত্তিতে একজন কর্মকর্তাকে একবারে সর্বোচ্চ তিনটি ইনক্রিমেন্ট দেয়া যাবে। আবার পদোন্নতির জন্য অন্তত দুই বছরের এসিআর থাকতে হবে। কাজী মো. সাফায়েত কবির, মো. জাফর ইকবাল হাওলাদারসহ কয়েকজন কর্মকর্তার পদোন্নতির ক্ষেত্রে এ নিয়ম মানা হয়নি। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে উঠে এসেছে, চেয়ারম্যানের আস্থাভাজন ২৭ কর্মকর্তাকে চার থেকে ১৩টি পর্যন্ত ইনক্রিমেন্ট দেয়া হয়েছে। কোনো ধরনের অভিজ্ঞতা ছাড়াই ব্যাংকের বোর্ড সেক্রেটারিসহ বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে চেয়ারম্যানের অপছন্দের কয়েকজন কর্মকর্তাকে নানা উপায়ে চাপ প্রয়োগ করে ব্যাংক থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, চেয়ারম্যানের জন্য একটি অফিস বরাদ্দ দিতে পারে ব্যাংক। অথচ ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমালের মতিঝিলে প্রধান কার্যালয়ে এবং ব্যাংকটির গুলশান শাখায় একটি করে অফিস ব্যবহার করার তথ্য পেয়েছে পরিদর্শক দল। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে পরিচালনা পর্ষদের উচ্চ ব্যয়ের কিছু উদাহরণ দেয়া হয়েছে। একটি সভায় তিনজন পরিচালকের জন্য ২০ বাস্কেট ফল কিনে ৮৫ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়। আবার নির্বাহী কমিটির এক সভায় তিনজনের দুপুরের খাবার বাবদ ২০ পিস ইলিশ, ২০ পিস চিংড়ি ভুনা, ২০ পিস চিতল মাছ, ২০ পিস রূপচাঁদা মাছ কিনে খরচ দেখানো হয় ৫৮ হাজার ৬৫০ টাকা। এভাবে পর্ষদের প্রতি সভায় সম্মানী ভাতা ছাড়াই প্রত্যেক পরিচালকের পেছনে গড়ে ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ের তথ্য পেয়েছে পরিদর্শক দল, যা অস্বাভাবিক বলা হয়েছে।

জানা গেছে, ব্যাংকের চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা, অফিস সহায়ক ও পুলের গাড়ি সরবরাহকারী নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালে চেয়ারম্যানসহ ৯ জন পরিচালক মিলে ‘এনআরবিসি ম্যানেজমেন্ট’ নামে একটি কোম্পানি খোলেন, যার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২১ সালের শুরু থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত তিন হাজার ৭১৪ কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। দরপত্র আহ্বান এবং অভিজ্ঞতা যাচাই ছাড়াই এসব নিয়োগের বিপরীতে সার্ভিস চার্জ বাবদ ব্যাংক থেকে ১১ কোটি ২০ লাখ টাকা নিয়েছেন তারা। এ ছাড়া ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি কোম্পানি এনআরবিসি ব্যাংক সিকিউরিটিজের ১০ শতাংশ শেয়ার কয়েকজন পরিচালক নিজেদের নামে নেন। এ দুটি ঘটনাকে নিয়মের পরিপন্থি ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব হিসেবে উল্লেখ করে দণ্ডনীয় অপরাধ বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, কোনো জবাবদিহি না থাকায় এ কোম্পানির মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে ইচ্ছামাফিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২০১৪ সাল ও ২০২২ সালের জুনের নির্দেশনায় পরিচালক বা তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাংকের কোনো পণ্য, সেবা ও সংগ্রহ বা কেনার নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হয়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠির পর সমপ্রতি তারা কোম্পানির শেয়ার অন্যদের নামে হস্তান্তর করেছেন। যদিও এসব শেয়ারের সুবিধাভোগী বর্তমান চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন পরিচালকই আছেন। এনআরবিসি ম্যানেজমেন্টের নামে বিভিন্ন সময়ে ঋণও দিয়েছে ব্যাংক। সেই ঋণের টাকা বেশির ভাগ সময় নামসর্বস্ব কোম্পানি লানতা সার্ভিস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের হিসাবে স্থানান্তর হয়েছে।

জানা গেছে, এনআরবিসি ম্যানেজমেন্ট ও স্টারলিংকস হোল্ডিংস বনানীর এডব্লিউআর এনআইবি টাওয়ারে অবস্থিত। এ ভবনের মালিকানায় রয়েছে ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান আদনান ইমামের এডব্লিউআর ডেভেলপমেন্ট। পারভেজ তমালের সব শেয়ার তারই ব্যবসায়িক সহযোগী স্টারলিংকস হোল্ডিংসের মালিক শফিকুল আলমের নামে হস্তান্তর করে তাকেই এনআরবিসি ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়েছে। শফিকুল আলমের প্রতিষ্ঠান রিলায়েবল বিল্ডার্সের নামে এনআরবিসি ব্যাংকের হাতিরপুল শাখায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে। বিপুল অঙ্কের এ ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে রয়েছে বরিশালের আলেকান্দা মৌজায় অবস্থিত ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ জমি। অপরদিকে, প্রবাসী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে ২০১৩ সালে তিনটি এনআরবি ব্যাংক অনুমোদনের অন্যতম শর্ত ছিল— বিদেশে কর পরিশোধিত অর্থে উদ্যোক্তা মূলধনের জোগান দিতে হবে। তবে তথ্য গোপন করে জালিয়াতির মাধ্যমে দেশ থেকে পাচারের টাকা বিদেশে নিয়ে এবিএম আব্দুল মান্নান ও কামরুন নাহার সাখীর নামে শেয়ার কেনেন মার্কেন্টাইল ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান শহীদুল আহসান। ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক পরিদর্শনে এ বেনামি শেয়ার চিহ্নিত করে তা বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়। অথচ বাজেয়াপ্ত না করে বিভিন্ন উপায়ে এতদিন ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। গত অক্টোবরে আব্দুল মান্নানের নামে থাকা চার কোটি ৭০ লাখ এক হাজার ৮৮৬টি শেয়ারের (পরিশোধিত মূলধনের ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ) মধ্যে চার কোটি ৪৯ লাখ ৯৯ হাজার ৫১১টি শেয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আদনান ইমামের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর কামরুন নাহার সাখীর শেয়ার মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ঋণ সমন্বয়ের জন্য দেয়া হচ্ছে।

এনআরবিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তা শেয়ার চলতি মার্চ পর্যন্ত লকইন তথা বিক্রি বা হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আবার ২০২১ ও ২০২২ সালের জন্য ঘোষিত বোনাস শেয়ারও ২০২৫ ও ২০২৬ সালের আগে বিক্রি করা যাবে না। অথচ নিয়ম অমান্য করে বিশেষ বিবেচনায় ব্লক মার্কেটে এই শেয়ার কেনাবেচার অনুমোদন দেয় বিএসইসি। এর মধ্যে গত ৩১ অক্টোবর ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমালের ব্যবসায়িক অংশীদার শফিকুল আলমের অনুকূলে এক কোটি ৬৫ লাখ ৭২ হাজার ৯৯২টি এবং নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আদনান ইমামের স্ত্রী নাদিয়া মোমিন ইমামের কাছে এক কোটি ৩৮ লাখ ৪৫ হাজার ৯০৪টি শেয়ার বিক্রি করা হয়। আর মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শহীদুল আহসানের মেয়ে রেহনুমা আহসানের অনুকূলে এক কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার ৬১৫টি শেয়ার হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমালের ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

আর ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম আউলিয়ার ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। আর এনআরবিসি ব্যাংকের অনিয়মের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবস্থা নিচ্ছে না— এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক। 

দৈনিক আমার সংবাদকে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব অভিযোগই তদন্ত করে। যেখানে যে ব্যবস্থা নেয়ার দরকার সেটি নেয়া হয়। এনআরবিসি ব্যাংকের কয়েকজনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সেটিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেখবে। সব কিছুরই একটি প্রক্রিয়া আছে। প্রক্রিয়া অনুযায়ীই কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এনআরবি ম্যানেজমেন্ট থেকে ৯ জনকে সরিয়ে দিয়েছি। আর পর্ষদ সভায় যে অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে তারা সেটার কিছু টাকা ফেরতও দিয়েছে। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
 

Link copied!