ফারহানা নওশিন তিতলী, ইবি
আগস্ট ২, ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার দাবিতে, সাজিদ আব্দুল্লাহ’র মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত ও জুলাই বিপ্লবের আলোকে ক্যাম্পাস সংস্কারের দাবি নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রশিবির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
শনিবার বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রধান ফটকে গিয়ে সমবেত হয় এবং সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন, যেমন— “ইবিতে ছাত্র সংসদ পালন করো করতে হবে; ইকসু নিয়ে টালবাহানা, আর না আর না; হাবিপ্রবি যবিপ্রবি সবই পারে ইবি প্রশাসন কী করে; আদর্শের সংগ্রাম শিবিরের আরেক নাম; অফিসে গিয়ে পায় না সাড়া শিক্ষার্থীরা দিশেহারা; লাঞ্চ করতেই দিন পার, কর্মকর্তারা জমিদার; সনদ করতে উত্তোলন শিক্ষার্থীদের যায় জীবন; নাপা-কেন্দ্রের ডাক্তার পরিবর্তন করো করতে হবে” ইত্যাদি।
শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মো. ইউসুব আলী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “জুলাই বিপ্লবের এক বছর পার হলেও ক্যাম্পাসে কোনো দৃশ্যমান সংস্কার হয়নি। বরং জুলাই বিরোধীরা বুক ফুলিয়ে চলছে। প্রশাসন ক্যাম্পাস নিয়ে ভাবুন, অন্যথায় শিক্ষার্থীরা মসনদ তসনস করে দিতে বাধ্য হবে।”
শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, “বিপ্লবের পর উল্লেখযোগ্য কোনো সংস্কার চোখে পড়েনি। আমরা ভেবেছিলাম ক্যাম্পাস হবে নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব। নিখোঁজ ওয়ালীউল্লাহ-মুকাদ্দাসের সন্ধান পাবো, কিন্তু সেটাও হয়নি। বরং প্রশাসন জুলাই বিপ্লবীদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। প্রশাসন শিক্ষার্থীবান্ধব নয়, এটা জরিপ করিয়ে দেখুন।”
তিনি আরও বলেন, “শাবিপ্রবি, যবিপ্রবি, হাবিপ্রবি ইতোমধ্যে ছাত্র সংসদ গঠন করেছে এবং জুলাই বিপ্লবের সম্মান রেখেছে। তাহলে ইবি কেন ইকসু গঠন করতে পারলো না? শেখ হাসিনাও জনগণের ইচ্ছা উপেক্ষা করে ক্ষমতার চেয়ার রক্ষা করতে পারেনি, আপনারা পারবেন না। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগের পর শিক্ষক নিয়োগ হয়ে গেছে, অথচ ইবিতে কেন নিয়োগ দিচ্ছেন না? শুধু সার্কুলার পর্যন্ত কেন? টাকা খাওয়া শেষ হলে নিয়োগ দিবেন? সাজিদের হত্যার বিচার করুন। শিক্ষার্থীদের জন্য ভালোবাসা প্রমাণ করতে চাইলে সাজিদ হত্যার বিচার নিশ্চিত করুন।”
তিনি জানান, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ১১০টি দাবি দিয়েছি, কিন্তু তারা নয়-ছয় করেছে। এমনকি পাশ করার মতো দাবিও রাখেনি। শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তোলা, আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার জন্য প্রশাসনের সঙ্গে ছাত্র প্রতিনিধিত্ব তৈরি করতে হবে। ইকসু গঠন করলেই ছাত্র প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে।”
ইএইচ