ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

রাজধানীতেই আট আনা দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে পুরি- পেঁয়াজু!

মো. মাসুম বিল্লাহ

মে ২৩, ২০২২, ০৬:০৬ পিএম

রাজধানীতেই আট আনা দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে পুরি- পেঁয়াজু!

আট আনার পয়সার কথা মনে আছে? আট আনার ব্যবহার বিলুপ্ত হয়েছে বহু আগে। বিংশ শতাব্দির গোড়াপত্তনের আগেই যার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।তবে এই যুগে এসেও যদি শুনতে পান আট আনা দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে পণ্য তাহলে মাথায় হাত উঠা বড্ড স্বাভাবিক।অনেকের তো কপালে উঠে যেতে পারে চোখও।তবে এখনো অচল বনে যাওয়া আট আনা দিয়ে কেনা যাচ্ছে পণ্য।গত ২২ বছরেও যার কাছে ফুরায়নি আট আনার কদর।তিনি কেরাণীগঞ্জের কলাতিয়া অঞ্চলের মানিক ভাণ্ডারি।

রাজধানী কেরাণীগঞ্জের কলাতিয়া অঞ্চল।কলাতিয়া বাজারের শতবর্ষী কড়ই গাছের ছায়াতলে মানিক ভাণ্ডারির খাবার হোটেল।হোটেলের বয়সও প্রায় তিন দশক।শুধু এখনই নয় ৩০ বছর আগেও আট আনায় পুরি বিক্রি করতেন মানিক।তখন মানিকের বয়স ছিল কুড়ি বছরের কোঠায়।কালো চুল ধবল হয়ে গেছে।পরিবর্তন হয়েছে অনেক কিছুই।কিন্তু সব বদলে গেলেও বদলায়নি মানিকের পুরির দাম। এখনো আট আনায় পুরি বিক্রি করেন তিনি।স্থানীয়দের মতে, বছরের পর বছর ধরে রাজধানী ও সাভারের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানিক ভাণ্ডারির হোটেলে পুরি-পেঁয়াজু খেতে আসে মানুষ। দাম ও আকার দুই মিলেই যেন এক বিশেষত্বের জন্ম দিয়েছে মানিক ভাণ্ডারি। আট আনায় পুরি বিক্রির পাশাপাশি এক টাকায় পেঁয়াজু বিক্রি করেন তিনি। সেই পেঁয়াজুর আকার অনেকটা দেশের পাঁচ টাকার কয়েনের মত।

আট আনার পুরি- পেঁয়াজু বিক্রি নিয়ে মানিক ভাণ্ডারি বলেন, ২৮ বছর আগে দোকান দিছিলাম।তখন জিনিসপত্রের দাম কম আছিল। পুরি আট আনার বেচতাম। এখনো আট আনায়ই বেচি। জিনিসের দাম বাড়ছে, তাই সাইজ ছোট করা লাগছে।’

তিনি আরও জানান, অন্যান্য খাবার হোটেলের মত প্রতিদিন সকালেই খোলা হয় তার হোটেল। সকালে থাকে অন্য ১০টা হোটেলের মত স্বাভাবিক নাশতার বন্দোবস্ত। দুপুরের পর থেকে শুরু হয় পুরি-পেঁয়াজু তৈরি। তিনটা থেকে শুরু হয়ে পুরি-পেঁয়াজু বেচাকেনা চলে সন্ধ্যা সাত-আটটা পর্যন্ত।

শুধু যে নিজে খেতে দূর থেকে মানুষজনরা আসেন তা নয়, নিজেরা খেয়ে যাওয়ার যাওয়ার সময় পরিবার-পরিজনের জন্য পুরি–পেঁয়াজু নিয়ে যেতে ভুল হয় না কারো।

কথা হয় এখানে পুরি-পেয়াঁজু কিনতে আসা আসাদ নামের এক ক্রেতার সঙ্গে, তিনি বলেন, ছোটবেলা আট আনা দেখেছি। তার তো এখন আর চল নাই।কিন্তু এই সময়ে এসেও যে আট আনা দিয়ে পুরি- পেঁয়াজু পাওয়া যাচ্ছে বিষয়টি অবাক করার মতোই।তাই বন্ধুরা মিলে খেতে এসেছি এখানে।

আমারসংবাদ/আরএইচ

Link copied!