ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad
প্রাইভেটকারে ‍শিক্ষক দম্পতির লাশ

কিডনিতে-ফুসফুসে জমাট রক্ত, নমুনা সিআইডি ল্যাবে

মো. মাসুম বিল্লাহ

আগস্ট ১৯, ২০২২, ১২:২৩ পিএম

কিডনিতে-ফুসফুসে জমাট রক্ত, নমুনা সিআইডি ল্যাবে

গাজীপুরে প্রাইভেটকারে মৃত অবস্থায় পাওয়া শিক্ষক দম্পতির ফুসফুস ও কিডনিতে জমাট রক্ত পাওয়া গেছে বলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান মো. শাফি মোহাইমেন জানান, 
তাদের দুজনের ফুসফুস ও কিডনিতে জমাট রক্ত পাওয়া গেছে। 

এটা খাবারে বিষক্রিয়া বা অন্য কারণেও হতে পারে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তাদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হতে নমুনার রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য ঢাকায় সিআইডি ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

তবে এ ঘটনায় শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি। দুজনের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তবে পুলিশ সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এখনো তাদের মৃত্যুর রহস্যের জট খুলতে পারেনি পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ভোরে দক্ষিণ খাইলকুর বগারটেকে প্রাইভেট কারের ভেতরে এ কে এম জিয়াউর রহমান (৫১) ও মাহমুদা আক্তার জলি (৩৫) দম্পতির লাশ পাওয়া যায়। জিয়াউর গাজীপুরের টঙ্গীর শহিদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। মাহমুদা টঙ্গীর আমজাদ আলী সরকার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।

জিয়ার ছেলে মিরাজ বলেন, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে পৌনে ৭টার দিকে বাবার মোবাইলে ফোন দেন। কিন্তু বাবার ফোন রিসিভ না হওয়ায় মায়ের ফোনে কল করেন। পরে মা ফোন ধরে বাসায় আসছেন বলে জানান। 

“কিন্তু মা কথা বলার সময় ক্লান্তির স্বর ভেসে আসছিল।”

এরপর থেকে ফোনে তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেননি উল্লেখ করে মিরাজ বলেন, পরে তারা গাছা থানা, টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানায় যোগাযোগ করেন। রাতভর তারা বিভিন্ন জায়গায় তাদের খোঁজ করেন।

তিনি আরও জানান, ভোরে তিনি চাচাকে নিয়ে জয়বাংলা সড়ক দিয়ে পূবাইল থানায় খোঁজ নিতে যান। পরে বগারটেক এলাকায় তার বাবা জিয়াউর রহমানের ব্যবহৃত প্রাইভেট কার দেখতে পান। 

এ সময় গাড়ির ভেতরে অচেতন অবস্থায় বাবা মাকে পেয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। মেরাজ বাবা-মা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ীদের বিচার দাবি করেন।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ বলেন, ঘটনাটি তদন্তে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে। কী কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) আবু সায়েম নয়ন বলেন, তাদের লাশে সুরত হাল প্রতিবেদন করা হয়েছে। তবে তাদের লাশে মৃত্যুর কোনো আলামত বাহ্যত পাওয়া যায়নি। পাশে একটি খালি বাটি পাওয়া গেছে। তবে তাতে কী ছিল তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার ওসি নন্দলাল চৌধুরী বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে শিক্ষক দম্পতির লাশ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত নিহত দম্পতির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় এখন পর্যন্ত মামলা করা হয়নি। 

এ ছাড়া তাদের মৃত্যুর কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও ভিসেরা প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাদের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব হবে। এরই মধ্যে তদন্তকাজ শুরু করেছেন তারা। সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।


আমারসংবাদ/টিএইচ

Link copied!