ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা রবিবার, ০৩ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

জাদুঘরে ‘স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু মুক্ত দর্শনের বিজ্ঞানী’ শীর্ষক সেমিনার

মো. মাসুম বিল্লাহ

নভেম্বর ৩০, ২০২৩, ১২:৪০ পিএম

জাদুঘরে ‘স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু মুক্ত দর্শনের বিজ্ঞানী’ শীর্ষক সেমিনার

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু মুক্ত দর্শনের বিজ্ঞানী’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভার আয়োজন করে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) অয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব খলিল আহমদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী। 

আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক প্রফেসর মনিরুজ্জামান খন্দকার। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব মোঃ কামরুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

আলোচনায় জগদীশ চন্দ্র বসুর শিক্ষা জীবন, গবেষণা ও কর্মজীবনের নানা দিক উঠে এসেছে। জগদীশ চন্দ্র বসুকে ভারতীয় উপমহাদেশে বিজ্ঞান চর্চ্চার জনক বলা হয়। তিনি ছিলেন বাঙালি পদার্থবিদ, জীববিজ্ঞানী। ১৮৫৮ সালের ৩০ নভেম্বর ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন এবং তাঁর পরিবারের আদি বাসস্থান বিক্রমপুরের রাঢ়িখালে। বিজ্ঞানকে গবেষণার বিষয় করে যে সমস্ত বাঙালি সাধক বিজ্ঞান ক্ষেত্রে অসাধ্য সাধন করেছেন তাঁদের মধ্যে জগদীশচন্দ্র বসু অন্যতম।

জগদীশ চন্দ্র বসু শিক্ষাজীবন শুরু করেছিলেন ফরিদপুরের একটি স্কুলে এবং পরবর্তীতে কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১৮৭৫ সালে এন্ট্রাস পাশ এবং ১৮৭৯ সালে বিজ্ঞানের স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ইংল্যাণ্ডের কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাকৃতিক বিজ্ঞান বিষয়ে বি.এ. পাশ করেন।

১৮৮৪ সালে লণ্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এস.সি. ডিগ্রি লাভ করেন। বৈজ্ঞানিক জগদীশ চন্দ্র বসু মানব সভ্যতার অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। পদার্থবিজ্ঞান এবং উদ্ভিদবিদ্যায় তাঁর অসামান্য অবদান শুধু বাঙালির ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর ইতিহাসেও স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। মাইক্রোওয়েভ প্রযুক্তির ওপর সফল গবেষণা করেন, যার ফলশ্রুতিতে আবিষ্কৃত হয় রেডিও। তাঁর উল্লেখযোগ্য আবিষ্কারের মধ্যে রয়েছে মাইক্রোওয়েভ রিসিভার ও ট্রান্সমিটারের উন্নয়ন এবং ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্র। মাইক্রোওয়েভ আবিষ্কার ছিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা আজকের দিনে মহাকাশ বিজ্ঞান, চিকিৎসা বিজ্ঞান, টেলিভিশন সম্প্রচার, কম্যুনিকেশন অর্থাৎ যোগাযোগ ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন যন্ত্রপাতিতে মাইক্রোওয়েভ কাজে লাগে।

পদার্থ বিজ্ঞানে অসাধারণ অবদান সত্ত্বেও জগদীশ চন্দ্র বসু সারা বিশ্বে খ্যাতিলাভ করেছিলেন উদ্ভিদবিজ্ঞানী হিসাবে। গাছকে আঘাত করলে গাছ কীভাবে সাড়া দেয় সেটা তিনি যন্ত্রের সাহায্যে প্রমাণ করে দেখান, যা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা আবিষ্কার। তাঁর গবেষণা জড় ও জীব জগত সম্পর্কে মানুষের ধারণা বদলে দিয়েছিল। বাঙালি বিজ্ঞান সাধক হিসেবে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণার জন্য তিনি "বসু বিজ্ঞান মন্দির" নামে কলকাতায় একটি সংস্থা তৈরি করেন।

তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ গুলির মধ্যে রয়েছে "Plant responses as a means of psychological Investigation", "phychology of Photosynthesis", "Nervous mechanism of plants" এবং অবশ্যই বাংলায় লেখা মূল্যবান গ্রন্থ "অব্যক্ত"। 

এআরএস

Link copied!