নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ১৩, ২০২৫, ০২:২২ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ১৩, ২০২৫, ০২:২২ পিএম
গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গুলি ও সহিংসতায় সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) তদন্ত সংস্থা। তবে এসব অপরাধ আন্তর্জাতিক সংজ্ঞা অনুযায়ী গণহত্যার পর্যায়ে পড়ে না বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।
তদন্ত প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁকে ‘মাস্টারমাইন্ড, হুকুমদাতা ও সুপিরিয়র কমান্ডার’ হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, তিনি এ অপরাধ সংঘটনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই প্রথম কোনো মামলায় তদন্ত শেষ হলো।
সোমবার মামলার নথিপত্র, সিডি ও প্রাসঙ্গিক তথ্য-উপাত্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে জমা দেওয়া হয়। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
এ মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে আরও দুজনের নাম এসেছে—সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, তদন্ত সংস্থার জমা দেওয়া অভিযোগ ও তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এ অভিযোগ দাখিল সম্ভব হবে।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে তাজুল ইসলাম বলেন, “আন্তর্জাতিক সংজ্ঞা অনুযায়ী বাংলাদেশে সংঘটিত অপরাধগুলো গণহত্যা নয়; বরং তা ‘ক্রাইমস এগেইনস্ট হিউম্যানিটি’ বা মানবতাবিরোধী অপরাধ। এগুলোকে ম্যাস কিলিং বা ম্যাসাকার বলা যায়, কিন্তু জেনোসাইড বলা যায় না।”
দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার হবে কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “এই বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। গতরাতে সংশোধিত আইন এসেছে। তদন্ত সংস্থা চাইলে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত কি না, সে বিষয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।”
ইএইচ