আমার সংবাদ ডেস্ক
মে ১৪, ২০২৫, ১২:৫১ এএম
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)-এর যৌথ অভিযানে রাজধানীর মূল সড়কে চলাচলরত প্রায় ৩০টি ব্যাটারিচালিত রিকশা জব্দ এবং তিনটি রিকশা ভেঙে ফেলা হয়েছে।
মঙ্গলবার আসাদগেট এলাকায় পরিচালিত এই অভিযানে ডিএমপি ও ডিএনসিসির কর্মকর্তারা অংশ নেন।
অভিযানের সময় রিকশাচালকদের কান্নার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
এই প্রেক্ষিতে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত ১১টা ১১ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে জানান,
“আজকে যে তিনজনের রিকশা ভাঙা হয়েছে, তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। মেইন রোডে না আসার জন্যই ওই রিকশাগুলো ভাঙা হয়েছিল। পরিবারগুলোর জন্য বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করতে আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি।”
এর আগে অভিযানে অংশ নিয়ে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। ডেসকোর সহায়তায় এসব রিকশার চার্জিং পয়েন্ট এবং উৎপাদনের ওয়ার্কশপগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ঢাকার মূলসড়কে কোনো রিকশা চলাচল করতে পারবে না। রিকশা চলবে কেবল অভ্যন্তরীণ সড়কে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, রাজধানীতে ঘটে যাওয়া ২০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী এই ব্যাটারিচালিত রিকশা। নারী ও শিশুরাই এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এগুলো কোনো নীতিমালা ছাড়াই তৈরি এবং চালিত হচ্ছে, যার ফলে এগুলোর গতি অনিয়ন্ত্রিত এবং প্রায়ই দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।”
ডিএনসিসি প্রশাসক জানান, “দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও সড়কে গণপরিবহনের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে। বুয়েটের সহায়তায় নিরাপদ ব্যাটারিচালিত রিকশার নকশা তৈরি করে কিছু কোম্পানিকে তা প্রস্তুতের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই মাসের মধ্যেই ডিএনসিসি রিকশাচালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। প্রশিক্ষণে উত্তীর্ণদের বৈধ লাইসেন্স প্রদান করা হবে এবং অনুমোদিত কোম্পানির তৈরি রিকশা নির্দিষ্ট এলাকায় চালানোর অনুমতি থাকবে। এক এলাকার বৈধ রিকশা অন্য এলাকায় যেতে পারবে না এবং যাত্রী ভোগান্তি কমাতে নির্ধারিত ভাড়ার ব্যবস্থা থাকবে।”
ডিএনসিসি প্রশাসক জানান, “একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে একটি মাত্র রিকশার লাইসেন্স দেওয়া হবে। এভাবে চলমান রিকশা নিয়ে যে বাণিজ্য চলছে, সেটিও বন্ধ করা হবে।”
ইএইচ
