নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ১৫, ২০২৫, ১০:২৮ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ১৫, ২০২৫, ১০:২৮ পিএম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান শিক্ষার্থী আন্দোলন এবং এর প্রেক্ষাপটে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি বলেন, "ভুল হলে তা থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে আমরা এগুতে চাই।"
তিনি লেখেন, "জবি থেকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে দু’জন শিক্ষার্থী ভাই শহিদ হয়েছেন এবং অনেক ভাই-বোন আহত হয়েছেন। জবি’র ভাইবোনদের বলব, আপনাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্যই আমি গিয়েছিলাম। জুলাই আমাদের মধ্যে ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের আত্মিক বন্ধন তৈরি করেছে। আশা করি, এ বন্ধন কোনো একক ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে ছিন্ন হবে না। ঝুঁকিপূর্ণ হলেও আপনাদের যেকোনো প্রয়োজনে আমাকে পাশে পাবেন।"
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর যৌক্তিকতা বিচার করবে শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয়। বিষয়টি মূল্যায়নে ইউজিসি-ও সম্পৃক্ত থাকবে। তবে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থেকেও, জুলাই গণ-আন্দোলনে সম্মুখ সারিতে নেতৃত্ব দেওয়া জবি শিক্ষার্থীদের দাবির একটি ফলপ্রসূ সমাধানে পৌঁছাতে তিনি নিজেই উদ্যোগী হন। তিনি জানান, "গত পরশু রাতে জবির শিক্ষার্থীরা আমাকে দাবিগুলো জানায়। তখন আমি তাদের গতকাল রাত ৯টায় আমার বাসায় আমন্ত্রণ জানাই। কিন্তু তার আগেই তারা কাকরাইল মোড়ে আন্দোলনে নামেন।"
মাহফুজ আলম বলেন, তিনি সেদিন দুপুর থেকেই জবি ভিসির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন এবং রাতে তিনটি আলোচ্য বিষয়ে সমাধানে পৌঁছে শিক্ষকদের সঙ্গে কাকরাইল মোড়ে যান। সেখানে শিক্ষার্থীদের ৫০ মিটার দূরে রেখে মিডিয়া অবস্থান করলেও তিনি নিজে সরাসরি শিক্ষার্থীদের সামনে গিয়ে কথা বলতে চান।
তিনি বলেন, "পূর্বনির্ধারিত টকিং পয়েন্ট অনুযায়ী পুলিশের বাড়াবাড়ি বা স্বউদ্যোগে কোনো উসকানিমূলক কিছু হয়ে থাকলে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ এবং বিভাগীয় তদন্তের কথা বলতে গিয়েছিলাম। তখনই এক শিক্ষার্থী বোতল নিক্ষেপ করেন। এটি কেন এবং কার উসকানিতে ঘটেছে, তা দ্রুত প্রশাসন খতিয়ে দেখবে বলে আশা করি।"
তিনি আরও লেখেন, "ঘটনার পর হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলাম, যা কারো মনে কষ্ট দিলে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি চেয়েছিলাম, জবির আবাসন সমস্যা দ্রুত সমাধান হোক।"
পরবর্তীতে ৫০ মিটার দূরে দাঁড়িয়ে তিনি আরেকটি সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা, দাবিপূরণের রোডম্যাপ এবং পুলিশি হামলার তদন্তের আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, "জবির শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলার আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। জবির শিক্ষার্থীদের আবাসনের দাবি ন্যায্য। আশা করি, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানসমূহ যৌক্তিক ও ফলপ্রসূ সমাধানে পৌঁছাবে।"
ইএইচ