ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

রৌমারীতে ১৫টি বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন

রৌমারী প্রতিনিধি

রৌমারী প্রতিনিধি

জুন ২০, ২০২২, ০২:৩২ পিএম

রৌমারীতে ১৫টি বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন

অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ব্রক্ষ্রপুত্র সহ রৌমারীর ছোট, বড় সব গুলো নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী স্থানগুলোতে দেখা দিয়েছে ব্যাপক ভাঙ্গন।

নদীর পানি অতি বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা  ইউনিয়নের পূর্ব কাজাইকাটা,চরগয়টা পাড়া, কাউনিয়ার চর, ডিগ্রির চর গ্রামের হলহলিয়া নদীর ভাঙ্গনে ১১টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন  হয়ে গেছে।  

পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় তিন শতাধিক বাড়ি। এদের মধ্যে অনেকেই উঁচু স্থানে তাদের আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। কেউ কেউ আবার ঘরের ভিতর উচু করে মাচান তৈরি করে বাড়িতেই আছেন ওই এলাকার লোকজন।

কয় দিনের মধ্যেই উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ছবেদ আলী,করিম মিয়া, সমেজউদ্দিন, হাবিবুর রহমান ,নবাব আলী, ইটল মিয়া, মুক্তার ফকির,আব্দুল মিয়া, জহুরুল ইসলাম, হোসেন আলী, সূর্যা মিয়া, শাহ জামাল, সোহেল মিযাসহ ১৫ জনের বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

ভাঙন আতংকে থাকা হাবিবুর রহমান কাঁন্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ওখানেই আমাদের বাড়ি ভিটে ছিল,এখন ভিটে ভেঙ্গর গেছে আমরা কোথায় আশ্রয় নিবো, কিভাবে চলবো কোন দিশা পাচ্ছি না।

সোমবার সরেজমিনে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নদী তীরবর্তী মানুষের আর্তনাদ। একরাতেই নদীগর্ভে ভিটে বাড়ি হারানো পরিবারগুলোতে বিরাজ করছে হাহাকার। তীব্র আতংকে রয়েছে নদী পারের শত,শত মানুষ। কোন রকমে বাড়ি-ঘর ও গাছপালাসহ বিভিন্ন স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে এলাকার বিদ্যুতের খুটি বাঁশঝাড়, বড় বড় গাছ পালা ও আবাদি  জমি।

দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের চর গয়টা পাড়া গ্রামের ছবেদ আলী (৫০), হাবিবুর রহমান (৫৫) কাউনিয়ার চর গ্রামের করিম মিয়া (৭০), কাজাইকাটা গ্রামের সমেজ উদ্দিন( ৬০),চরশৌলমারী ইউনিয়নের পূর্ব কাজাইকাটা গ্রামের মুক্তার আলী ফকির (৬৫) আবদুল হোক (৪৫) বলেন, ‘বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হলহলী নদীর ভাঙ্গনে আমাদের বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ঘরের জিনিসপত্র সব নষ্ট হয়ে গেছে। অন্যের বাড়িতে কোনো রকমে আশ্রয় নিয়ে অনেক কষ্টে আছি। এখন পর্যন্ত কোনো জন প্রতিনিধি আমাদের খোঁজ খবর নেননি এবং কোন প্রকার ত্রাণ বা সাহায্য আমরা পাইনি।

এই ব্যাপারে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, দ্রুত ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আমারসংবাদ/এআই 

Link copied!