Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

কুমারখালির মাদক সম্রাজ্ঞী উল্কা ও রাজিবের বিরুদ্ধে মামলা

নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া

নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া

আগস্ট ৪, ২০২২, ০১:২১ পিএম


কুমারখালির মাদক সম্রাজ্ঞী উল্কা ও রাজিবের বিরুদ্ধে মামলা

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার খয়েরচারা গ্রামে বহুল আলোচিত মাদক সম্রাজ্ঞী উল্কার ভাবী কাজলীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গৃহবধূর মা-বাবার দাবি তাদের মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। কাজলীকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখে উল্কা তার ভাই রাজিব ও বাবা আব্দুল কুদ্দুস, মা লতা বেগম আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে। অসামাজিক কাজে রাজি না হওয়া ও মাদক ব্যবসা করতে না চাওয়ায় হত্যা করা হয়েছে বলেও তারা জানান। 

এ বিষয়ে ঘটনার ১ মাস পর কুমারখালি থানা পুলিশ আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলা নিয়েছে বলে জানা গেছে মামলা নম্বর কুমারখালি জিআর ২৩০/২২, তারিখ ০৩/০৮/২২ । নিহত কাজলীর মা  বিলকিস বেগম মামলার বাদি।

ঘটনার বিবরণ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ০৩/০৭/২২ ঈদের আগে রোববার রাত ৮ টার দিকে উল্কাদের বাড়ির একটি কক্ষের সিলিং ফ্যান থেকে তার ঝুলন্ত গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয় বলে উল্কা-রাজিবের ফ্যামিলি সে সময় জানিয়েছিলো। তবে রাজিব কাজলীর বাবা-মাকে অসুস্থতার খবর দেয় ঐদিন রাত ১১টা ৫ মিনিটে, নিহত কাজলীর পরিবার কুমারখালি হাসপাতালে যেয়ে কাজলীকে মৃত অবস্থায় পায়।

কাজলী খাতুনের বাবা আবুল কালাম জানান, ৪ বছর পূর্বে কুমারখালীর খয়েরচারা গ্রামের কুদ্দুসের ছেলে রাজিবের  সাথে পারিবারিক ভাবে তার মেয়েকে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে তার মেয়েকে নির্যাতন করতো রাজিব ও তার পরিবার। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে আসবাবপত্র ও নগদ এক লক্ষ টাকা যৌতুক দেন।

নিহত কাজলী কুষ্টিয়া সদর থানার মোল্লা তেঘড়িয়া গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে কাজলী খাতুন (২৪)। কাজলীর ছোয়া নামে দুই বছরের একটা মেয়ে শিশু সন্তান রয়েছে। উল্কা-রাজিবের প্রতিবেশিরা জানান, রাজীব ও তার বোন উল্কা কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। তারা কাজলীকে অনৈতিক ও মাদক ব্যবসা করার জন্য চাপ দিত। মারধর করতো ঠিকমত খেতে দিত না।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, উক্ত বিষয়ে থানায় ০৩/০৮/২২, ৪ জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টে হত্যার আলামত পেলে এই মামলাটিই হত্যা মামলার রুপান্তরিত হবে বলেও তিনি জানান।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই  আশরাফুল আলম জানান মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে। দ্রুতই গ্রেপ্তার করতে পারবেন বলেও তিনি জানান।

কেএস 

Link copied!