ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

শ্রীপুরে বন্যার প্রেমে ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচটি পরিবার

মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরা প্রতিনিধি

আগস্ট ৬, ২০২২, ০৫:০৩ পিএম

শ্রীপুরে বন্যার প্রেমে ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচটি পরিবার

বন্যায় প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষে ঘর বাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে যায়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষকের জমির ফসল। আর শ্রীপুরের বন্যা তছনছ করে দিল ৫টি পরিবারের স্বাভাবিক জীবন। এ বন্যা প্রাকৃতিক দুর্যোগের বন্যা নয়। এ বন্যা মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কাদিরপাড়া ইউনিয়নের ঘাসিয়াড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে বন্যা।

বন্যা বালিয়াকান্দি থানার কোনা গ্রামের রাকিব মণ্ডলের সাথে প্রেমে করে পালিয়ে গেছে। এ কারণে বন্যার পিতা-মাতা বাদি হয়ে শ্রীপুর থানায় এবং দ্বিতীয় বার মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে মিথ্যা অপহরণ মামলা করছে। আর এই মিথ্যা মামলার আসামি হয়ে পাঁচটি পরিবার এখন অসহায় জীবন যাপন করছে। সেই সাথে প্রশাসন অসহায় হয়ে পরেছে তাদেরকে উদ্ধারের জন্য। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েও প্রেমিক-প্রেমিকাকে আটক করতে পারছেনা পুলিশ ।

এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, আনোয়ার হোসেন এবার পেঁয়াজের মৌসুমে হাট থেকে কামলা (দিনমজুর) রাকিব মন্ডলসহ আরো কয়েকজন দিনমজুর বাড়িতে আনে। রাকিব মন্ডল আনোয়ারের বাড়িতে থাকার সুবাদে তার মেয়ে বন্যার সাথে প্রেমে জড়িয়ে গত ১৮ জানুয়ারি দুজন পালিয়ে যায়। 

সূত্র মতে, ১৯ জানুয়ারি রাজবাড়ি জেলা নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা ধার্য করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এ ঘটনায় বন্যার মা শিরিনা বেগম ১ ফেব্রুয়ারি রাকিব মন্ডলকে ১নং ও তার সহযোগী হিসেবে শাকিল ও মারুকে আসামি করে শ্রীপুর থানায় একটি মিথ্যা অপহরণ মামলা দায়ের করেন । ওই মামলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় রাকিবকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং বন্যাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়। জেল থেকে বের হয়ে রাকিব-বন্যা আবারো প্রেমের টানে গত ১৩ জুলাই তারা দুজনে অজানার উদ্দেশে পাড়ি জমায়। আর রাকিবের পিতা মাতা পরিবার নিয়ে নিজের বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়েছে নিজ গ্রাম থেকে।

বন্যার পিতা আনোয়ার হোসেন মেয়ে দিনমজুর রাকিবের সঙ্গে পালিয়েছে নিশ্চিত যেনেও জুলাই মাসের ১৪ তারিখে ৫ জনকে আসামি করে মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মিথ্যা অপহরণ মামলা করেছে। এ মামলার আসামি হলেন রাকিব ছাড়াও রয়েছেন মনিরুজ্জামান, টিটুল, রবিউল ও সুজাত। এদের চারজনের বাড়ি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় হলেও শ্রীপুরের রায়নগর গ্রামের মনিরুজ্জামান নামে একজনকে আক্রোশমূলক ওই মামলার মিথ্যা আসামি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বন্যার পিতা-মাতার কার্যকালাপে সমালোচনার বয়ে যাচ্ছে এলাকাবাসীর মধ্যে।  

অপহরণ মামলার দ্বিতীয় আসামি মনিরুজ্জামান বলেন, বিগত ফেব্রুয়ারিতে বন্যার মা শিরিনা বেগম আমার ক্রোকারিজ দোকান থেকে কিছু প্লাস্টিক সামগ্রী কিনতে আসে। এসময় শিরিনা বেগম কিছু টাকা বাকি চায়, আমি নতুন দোকানদার হিসেবে বাকি দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে তার সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়। তখন শিরিনা বেগম আমাকে বিভিন্ন ভয় ভিতি দেখায় এক পর্যায়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এমনকি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়।

তথ্য সূত্রে দেখা গেছে, মনিরুজ্জামান প্রথমবার জানুয়ারিতে বন্যা যখন পালিয়ে যায় তখন সেই মামলায় আসামি ছিলাম না। কিন্তু ছয় মাস পর অন্যের প্ররোচনায় প্রতিহিংসামূলক মনিরুজ্জামানকে ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।

জানা গেছে, রাকিব মন্ডল এবং বন্যা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে রীতিমতো সংসার পেতেছেন। অপরদিকে বাবা আনোয়ার হোসেন মেয়েকে ফিরে পেতে নিজে একবার অপহরণ মামলা দিচ্ছেন, আবার স্ত্রী শিরিনা বেগমকে দিয়ে অপহরণ মামলা করিয়েছেন।

স্থানীয় জনগণ এবং কাদিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ঘাসিয়াড়া ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, আমি যে ওয়ার্ডের মেম্বার এবং এ গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার ও শ্রীপুর থানা পুলিশ কেউ আমাকে কিছু বলেননি। মেয়ে প্রেমে পড়ে পালালো বাড়িতে আনা পেঁয়াজ খেতের কামলার সাথে। সব কিছু জেনেও আনোয়ার ও তার স্ত্রী বরাবর অপহরণ মামলা দিচ্ছেন। আর পুলিশও খুঁজে এনে দিচ্ছেন বারবারই।

এ মামলায় ভুক্তভোগী মনিরুজ্জামানের ভাই হাছিবুল ইসলাম কাদিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব খানের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। লিখিত অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, আমার ছোট ভাই বন্যা অপহরণ মামলার আসামি না। খোঁজ নিয়ে জেনেছি দ্বিতীয় বার আবার বন্যা রাকিবের সাথে পালালে মনিরুজ্জামানকে আসামি করা হয়েছে। যা কি না সম্পূর্ণ ভিত্তি হীন। অসৎ উদ্দেশ্য পূরণের জন্য এ মামলায় তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।

ঘাসিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং রাকিবের মামা রাজিব বলেন, বন্যার মা ভারতে এ ভাবে মানুষের সাথে পালিয়ে ছিলেন এখন তার মেয়ে শুরু করেছেন পালানো। এতে মিথ্যা অপহরণ মামলা দেয়ার কি আছে।

মাগুরা শ্রীপুর থানার এসআই গণমাধ্যমে জানান, বারবার স্থান ত্যাগ করা এবং মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করায় রাকিব মন্ডল ও বন্যাকে খোঁজে পেতে বেগ পেতে হচ্ছে। রাকিব বন্যা যুগোল কান্ডে পেরেশানির মধ্যে আছি। বরাবর পালানোর পর পুলিশ খোঁজে এনে দিলেও আবার পালায় রাকিব বন্যা যুগোল। 

আমারসংবাদ/এসএম

Link copied!