Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫,

কাশিমপুরে অনুমোদনবিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ছড়াছড়ি

কাশিমপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

কাশিমপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২, ০৫:৪৫ পিএম


কাশিমপুরে অনুমোদনবিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ছড়াছড়ি

অসহায় রোগীদের জিম্মি করে দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে উঠেছে অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার। প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব কোনো চিকিৎসক, নার্স, প্যাথলজিস্ট বা টেকনিশিয়ান না থাকলেও অবাধে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের ব্যবসা। এতে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে রোগীরা। এসব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করা হলেও এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে অনেক ক্লিনিক।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাশিমপুরে অনুমোদন ছাড়াই চলছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সরকারি কোনো তদারকি না থাকায় অনুমোদনের তোয়াক্কা করছে না তারা। কাশিমপুরে ‍‍`মা ও শিশু ডায়াগনস্টিক সেন্টার‍‍`, নিউ এ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ রয়েছে বেশ কয়েকটি ক্লিনিক। যার নেই কোন অনুমোদন। এমনকি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স পর্যন্ত নেই অনেকের। এক শ্রেণির অসাধু ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক ও দালাল চক্রের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা সহজ-সরল রোগীদের ঠকিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

এছাড়াও সপ্তাহে দুই-একদিন ডাক্তার বসলেও, রিসিপশন, ল্যাবটেস্ট থেকে শুরু করে বেশীরভাগ কাজ একজনই করে থাকেন। ডাক্তার না হয়েও কেউ কেউ নামের পাশে ডাক্তার লিখে রোগী দেখে যাচ্ছেন অবলিলায়।

সম্প্রতি জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে অননুমোদিত ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলেও প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম থেমে নেই।

লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলে মা ও শিশু ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, না এখনো পর্যন্ত কোনো লাইসেন্স করা হয়নি, সিভিল সার্জন অফিসে যাবো পরবর্তীতে কাগজপত্র গুলি করার জন্য প্ল্যান করেছি। তখনই আমাদের যে ডকুমেন্টগুলো আছে, এখানকার ডিড, পার্টনারশিপ, চুক্তিনামাসহ আরো কাগজপত্র আছে সবগুলো লাগে। এগুলো নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা হওয়াতে লাইসেন্স করা হয়নি।

নিউ এ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর খাইরুল বাসার (নাঈম) বলেন, আমরা লাইসেন্স টার জন্য যাদের সাথে কথা বলেছিলাম, তার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রসহ সব কাগজপত্র গুলো রেডি করতে গিয়ে দেরি হয়ে গেছে।

এবিষয়ে গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামান বলেন, প্রতিটি ক্লিনিকের রিসিপশনে রেজিস্ট্রেশন টানিয়ে রাখা উচিত, সেই সাথে সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে এবং ভূমিকা রাখতে হবে। তবেই এগুলো ধীরে ধীরে বন্ধ করা সম্ভব।

এসএম

Link copied!