Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫,

ফেনীতে কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, ফেনী

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, ফেনী

জুন ১৬, ২০২৫, ০৭:৩১ পিএম


ফেনীতে কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা

ফেনীতে কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। ঈদের ১০দিন পার হলেও পাইকারদের দেখা মিলছে না। চামড়ার বাজারে ধস নামায় বঞ্চিত হয়েছেন দুস্থরা। এ নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন মৌসুমী চামড়ার ব্যবসায়ীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সরকার রাজধানীতে লবণযুক্ত চামড়া সর্বনিম্ন ১৩৫০ টাকা ও ঢাকার বাইরে ১১৫০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। গতবারের মতো এবারও ছাগলের চামড়ার চাহিদা নেই বললেই চলে। অনেকেই বিনামূল্যে ছাগলের চামড়া দিয়েছেন। ছাগলের চামড়ার দাম উঠেছে ১৫-৩০ টাকা।
সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না চামড়া। পাঁচগাছিয়া বাজারে রাস্তার উপর চামড়া পড়ে থাকলেও দেখা মিলছে না ট্যানারি মালিকদের।

অন্যান্যবারের তুলনায় এবারও বেশিরভাগ কোরবানিদাতারা বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় চামড়া দান করে দেয়। তারাও অনেকটা পানির দরে বিক্রি করছেন পশুর চামড়া।

গরুর চামড়া ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ৭০০ টাকা দরে সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ঈদের দিন ও পরেরদিন জেলার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তায় চামড়া পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া বাজারের শফিক এন্টারপ্রাইজের মালিক শফিকুর রহমান বলেন, এবারও প্রায় চার হাজার চামড়া সংগ্রহ করেছি। এবার কি অবস্থা হয় এখনো বুঝা যাচ্ছে না। তবে অনেকে এবারও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। তবে আমরা আশা করছি ভালো কিছু হবে।

কিন্তু সিন্ডিকেটের কবলে পড়লে সব তছনছ হয়ে যেতে পারে। আমরা চাই সব জায়গা থেকে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে যাক। চামড়া ব্যবসা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শিল্প। এ শিল্পকে টিকাতে সরকার আন্তরিক হলে সিন্ডিকেট ভেস্তে যাবে।

একই বাজারের মেসার্স নূরনবী ট্রেডার্সের মালিক নূরনবী মেম্বার জানান, চামড়ার কথা কেউ জিজ্ঞেসও করছে না। সাড়ে ৪০০- ৬০০ টাকা দরে প্রায় ১০ হাজার চামড়া সংগ্রহ করেছি। পুরো জেলা প্রায় ৫০ হাজার চামড়া লবণজাত করা হয়েছে। পুঁজি অনুযায়ী চামড়া ব্যবসায় লাভের মুখ দেখা যাবে কিনা এখনো সন্দেহ রয়েছে।

স্থানীয় মেসার্স কবির এন্টারপ্রাইজের মালিক কবির আহম্মদ জানান, এখন থেকে ১৫-১৬ বছর আগে চামড়া নিয়ে ট্যানারি মালিকদের মাঝে যে রকম উৎসাহ দেখা যেত, সেটা দেখা যাচ্ছে না। আমরা এবার ৩২০ টাকা থেকে শুরু করে ৭০০ টাকা পর্যন্ত চামড়া সংগ্রহ করেছি। প্রতিটি চামড়ায় লবণ ও মজুরীসহ আরও ২০০ টাকা খরচ পড়েছে।

ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, চামড়ার বিষয়টি আসলে জাতীয় ইস্যু। সরকারের উচ্চপদস্থ কর্তাব্যক্তিরা চামড়ার ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। মন্ত্রণালয়েও চামড়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে ভালো কিছু হবে। তবে জেলা পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লবণ সরবরাহ করা হয়েছে। এতে চামড়া নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

আরএস

Link copied!