Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি এখনো মাটির

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

অক্টোবর ১, ২০২২, ০৮:৪২ পিএম


জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি এখনো মাটির

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ১নাম্বার ওয়ার্ড এলাকার কুমারী খালের রাস্তায় প্রায় এক কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ রাস্তাটি এখনো মাটির। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সড়ক গুলো উন্নয়ন হলেও এই রাস্তায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি দীর্ঘ ৫০ বছরে।

রাস্তাটি আনিস সড়কের মাধ্যমে গুমানমর্দ্দন, নাঙ্গলমোড়া ও মির্জাপুর এলাকার বাসিন্দারা আঞ্চলিক মহাসড়কে পৌঁছাবার বিকল্প পথ হিসেবে ব্যবহার করে। রাস্তাটি দিয়ে মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়, মির্জাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাকর আলী মোমেনিয়া মাদরাসাসহ বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শত শত শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশার মানুষের চলাচল হয়ে আসছে যুগযুগ ধরে। এ পথে ইটের সলিন কিংবা কার্পেটিং না হলেও তাদের কোন আক্ষেপ নেই। পায়ে হেঁটে, রিক্সা কিংবা সিএনজি চালিত অটোরিকশা দিয়ে সহজেই চলাফেরা করতে পারে। কিন্তু আক্ষেপের বিষয় হলো বর্ষা মৌসুম আসলে সবার মনে শঙ্কা জাগে অতিবৃষ্টিতে রাস্তাটি খালে বিলিন হয়ে যায় কিনা।

তদুপরি বর্তমানে গুটিকয়েক জীপচালক ও ইটবালু ব্যবসায়ী বৃদ্ধি করে দিয়েছে সেই শঙ্কা। এলাকার কিছু প্রভাবশালী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রভাব খাটিয়ে ইটবালু ভর্তি ভারীযান চলাচল করছে ওই রাস্তায়। এতে রাস্তাটি দেবে যাওয়ার পাশাপাশি কুমারী খালে বিলিনের শঙ্কা রয়েছে।

সরজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘ ৫০বছরেও রাস্তাটিতে কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এমনকি একটি ইটের খোঁয়াও দেয়া হয়নি কখনো। প্রায় কয়েকশত শিক্ষার্থীদের নিরাপদ যাতায়াতের বিকল্প পথ এই রাস্তা। কিন্তু তারপরেও গুরুত্বহীনভাবে পড়ে আছে রাস্তাটি।

স্থানীয় শিক্ষার্থীরা বলেন, এ সড়ক আমাদের জন্য নিরাপদ। পায়ে হেঁটে কিংবা রিকশাযোগে সহজেই প্রতিষ্ঠানে যেতে পারি। বর্তমানে মালবাহী কিছু জীপগাড়ি চলাচল করায় সড়কটি দেবে যাচ্ছে। যেহেতু বর্ষা চলছে বৃষ্টির কারণে সড়কের মাটি নরম হয়ে আছে এমতাবস্থায় এই ভারী যানবাহন চলাচলে রাস্তাটি নাজুক অবস্থায়। যদি মালবাহী ভারীযান চলাচল অন্তত বর্ষা মৌসুমে নিষিদ্ধ করা হয় এবং রাস্তাটি ব্রিক সলিন করা হয় তাহলে চলাচলকারী শত শত শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ উপকৃত হবে।

ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক মঈনুদ্দিন জানান, বর্তমানে মাটির রাস্তা চোখেই পড়েনা। চারদিকে কার্পেটিং কিংবা আরসিসি ঢালাই। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এত বছরেও এ রাস্তাটির কোন উন্নয়ন হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, রাস্তাটিতে বর্ষাকালে মালবাহি জীপ চলাচল নিষেধ করা উচিত।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হাসেম বলেন, সড়ক নষ্ট করলে সবাই কষ্টে পড়বে। অভিযুক্তদের খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে জানিয়ে দেয়া হবে। রাস্তাটি উন্নয়নের তালিকায় রাখা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন খাঁন সুমন বলেন, রাস্তাটি দিয়ে আগে অনেক পথচারী চলাচল করলেও বর্তমানে তেমন নাই। বর্তমানে রাস্তাটি দিয়ে দুটি বাড়ির লোকজন চলাচল করে। মালবাহি জীপ চলাচলে রাস্তার কিছু ক্ষতির অভিযোগ পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করতে অভিযুক্তকে জানিয়ে দেয়া হবে।

উন্নয়নের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তালিকায় রাস্তাটি আছে, পর্যায়ক্রমে উন্নয়ন করা হবে।

এসএম

Link copied!