Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪,

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় প্রধান শিক্ষকের যাবজ্জীবন

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

নভেম্বর ২৯, ২০২২, ০৫:৫৭ পিএম


স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় প্রধান শিক্ষকের যাবজ্জীবন

রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো তিন বছর কারাদণ্ড দেন বিচারক।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাঙ্গামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম ইসমাইল হোসেন এ রায় প্রদান করেন।

রায়ে বিচারক এই এম ইসমাইল হোসেন বলেন, আসামি আব্দুর রহিম তার ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে, যা রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। এতে আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাজীব চাকমা আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, রাঙ্গামাটির জন্য একটি যুগান্তকারী রায়। আশা করছি এই রায়ের ফলে ভবিষ্যতে এই ধরনের অপরাধ কার্যক্রম কমে আসবে এবং এই রায় কার্যকর হবে।

এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোক্তার আহমেদ বলেন, এই রায়ে আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। আমরা উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব। আমাদের বিশ্বাস উচ্চ আদালত ন্যায়বিচার করবে এবং আসামি নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে খালাস পাবেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টম্বরে স্কুলের প্রধান শিক্ষক তার ছাত্রীকে জোরপূর্বক বিদ্যালয়ের কক্ষে ধর্ষণ করে। এই ঘটনা কাউকে না জানাতে ওই ছাত্রীকে হুমকি দিয়ে দেন শিক্ষক। ভয়ে ওই ছাত্রী এই ঘটনা কাউকে প্রকাশ করেনি। দুদিন পর তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তার মাকে বিষযটি জানান। পরে তার মা বিষয়টি স্থানীয় কার্বারী বীর মোহন চাকমা, ইউপি চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি মঙ্গল কান্তি চাকমাকে অবহিত করেন। এর ৯ দিন পর ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর লংগদু থানায় মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রীর মা।

পরে লংগদু থানার পুলিশ পরিদর্শক সুজন হালদার ও পুলিশ পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন তদন্ত শেষে গত ২৮ অক্টোবর আসামীর রিরুদ্ধে ধর্ষণের ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা থাকায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ চিকিৎসক, তদন্তকারী কর্মকর্তা ও স্থানীয় সাক্ষীসহ মোট ১৩ জনের সাক্ষী উপস্থাপন করেন।

কেএস 

Link copied!