Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪,

চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির সোর্সকে কুপিয়ে হত্যা

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

ডিসেম্বর ১৩, ২০২২, ০৩:৩৭ পিএম


চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির সোর্সকে কুপিয়ে হত্যা

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে তারেক (৪৫) নামে এক বিজিবির সোর্সকে কুপিয়ে হত্যা করেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোরে জীবননগর  উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের উত্তরপাড়ার (ভারত সীমান্তের তারকাটার কাছে) বিজিবির সদস্যরা রক্তাক্ত অবস্থায় তারেককে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যদের সহযোগীতায় জীবননগর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। অবস্থায় অবনতি হলে সেখান থেকে নেয়া হয় যশোরের একটি হাসপাতালে। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তারেক একই উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের বড়পুকুরপাড়ার রবগুলের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইশাবুল ইসলাম মিল্টন।

তিনি জান, তারেক ঝিনাইদহ মহেশপুর ব্যাটালিয়ন ৫৮ বিজিবির কাছে বিভিন্ন মাদক-স্বর্ণ চোরাচালানের তথ্য সরবরাহ করতেন। এক কথায় তিনি বিজিবির সোর্স ছিলেন। এ জন্য চোরাকারবারীদের মধ্যে ধন্ধ হয়। এরই জের তাকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভোরে বিজিবি সদস্যরা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের তারকাটার নিকট থেকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। অবস্থায় অবনতি হলে নেয়া হয় যশোরে। সেখান থেকে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, তারেক নামে ব্যাক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে জেনেছি। ধারণা করা হচ্ছে মাদক চোরাচালানকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ দল তারেককে কুপিয়ে হত্যা করেছে। বিজিবির সোর্স কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে বলা যাবে।

মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) পরিচালক শাহিন আজাদ  বলেন, ‘বিজিবির সোর্স’ কারোর পেশা নয়। আমাদের নিকট অনেকেই চোরাচালানীদের তথ্য সরবরাহ করেন। নিহত তারেকও আমাদের নিকট চোরাকারবারীদের তথ্য সরবরাহ করেছিলেন। আমরা অভিযানও করেছিলাম। আসলে তথ্য সরবরাহকারীরাও চোরাকারবারীদের সঙ্গেই জড়িত থাকেন। ধারণা করা হচ্ছে মাদক চোরাকারবারীর দু’গ্রুপের ধন্ধে এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

এসএম

Link copied!