ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad
ঠাকুরগাঁও হাসপাতাল শয্যা সংকট

করিডোর-বারান্দার মেঝেতে রোগী আর রোগী

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

জানুয়ারি ২২, ২০২৩, ০৩:৪২ পিএম

করিডোর-বারান্দার মেঝেতে রোগী আর রোগী

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগে প্রতিদিন ধারণক্ষমতার পাঁচ গুণের বেশি শিশু রোগী ভর্তি হচ্ছে। শয্যা কম থাকায় হাসপাতালের ওয়ার্ডের মেঝেতে রেখে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তীব্র শীতের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শীতে সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ছিন্নমূল-দরিদ্র মানুষ ও শিশুরা। একই সঙ্গে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ। আক্রান্ত হচ্ছে সব বয়সী মানুষরা। তবে বেশি বিপাকে পড়েছে শিশুরা।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে বাড়ছে শিশুরোগীর সংখ্যা। গত চারদিনে দুই শতাধিক শিশু বিভিন্ন অসুখ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এসব রোগীর মধ্যে জ্বর, ঠান্ডাজনিত শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এক দিনেই হাসপাতালে ৪০ থেকে ৫০ শিশুরোগী ভর্তি হচ্ছে। পুরো শিশু ওয়ার্ডে শয্যার চেয়ে রোগী দুই গুণ। শয্যাসংকটে হিমশিম রোগী ও স্বজনরা।

রোববার (২২ জানুয়ারি) শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, শিশু বিভাগে প্রচুর রোগী রয়েছে। শয্যা সংকটে হাসপাতালের করিডোর এবং বারান্দার মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে রোগীরা। শিশু ওয়ার্ডেই রোগী আছে দুইশ’র বেশি। এক সপ্তাহ আগে এই ওয়ার্ডে রোগী আরও বেশি ছিল। হাসপাতালটি ২৫০ শয্যার কিন্তু দৈনিক ভর্তি থাকছেন ৪০০ থেকে প্রায় ৪৫০ জন রোগী।

জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলা শহরে হঠাৎ প্রচণ্ড শীত পড়ায় গত কয়েক দিনে বৃদ্ধসহ শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালে এমন রোগীর সংখ্যা দুইশ’র বেশি। দেখা গেছে, রোগীর চাপে বিশেষ করে শিশু ওয়ার্ডের কোথাও ঠাঁই নেই।

শিশু ওয়ার্ডের সবকটি বিছানা পরিপূর্ণ হয়ে মেঝেতেও রোগীদের জন্য বিছানা পাতা হয়েছে। এসব রোগী জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, খিঁচুনি এবং নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে এসেছে। এ ছাড়া অনেক অভিভাবক প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা শেষে শিশুদের নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। একইভাবে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন বয়স্করাও।

ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের ওয়ার্ডে রোগীদের ভিড়। ছবি- আমার সংবাদ  

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়ন থেকে অসুস্থতার জন্য শাহিনা তার ১৫ দিন বয়সি কন্যা খাদিজাকে ভর্তি করান। তিনি বলেন, ‘আমি কাশ ও সর্দিতে আক্রান্ত ও আমার কন্যা নিউমোনিয়া আক্রান্ত। গত ১০ জানুয়ারিতে হাসপাতলে শিশু ওয়ার্ডে তাকে ভর্তি করি। তবে রোগির অতিরিক্ত চাপ থাকায় বেড পাইনি। তাই ফ্লোরে বিছানা করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।’

ঠাকুরগাঁও আধুনিক হাসপাতালে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা থেকে রুবেল ইসলাম ও তার স্ত্রী এসেছেন ১৪ মাস বয়সী শিশুকে নিয়ে। রুবেল ইসলাম বলেন, আমার আড়াই মাসের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক। ঠান্ডার কারণে সর্দি ও এলার্জি রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে দুইদিন থেকে ভর্তি আছি।

পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার হরিপুর গ্রামের মসজিদুল ইসলাম বলেন, ‘অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে বেশ কয়েকদিন থেকে বাচ্চাটা অসুস্থ তাই গত ১৫ জানুয়ারি এই হাসপাতালে তাকে ভর্তি করি। এখন সে কিছুটা সুস্থ্য।’

সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের শাহানাজ পারভিন নামে এক গৃহবধু বলেন, ‘৫ দিন থেকে হাসপাতালে ভর্তি আমার ছেলেকে নিয়ে। এখানে বেডের সমস্যা রয়েছে। বেডের অভাবে অনেক রোগীকে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। যদি বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হতো তাহলে আমাদের জন্য আরো ভালো হতো।’

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ সাজ্জাত হায়দার শাহিন বলেন, ‘কয়েক দিনে হাসপাতালে শিশুরোগীর চাপ বেড়েছে। আমাদের এখানে শিশু ওয়ার্ডে বেডের সংখ্যা ৪৫ জনের হলেও বর্তমানে প্রতিদিন দুই শতাধিক শিশু ভর্তি থাকছে। শীতের সময় বিশেষ করে শিশু ও নবজাতকের ঠিকমতো যত্ন না নেওয়ার ফলে এধরণের সমস্যা হয়ে থাকে।

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. নাঈম মো. মিনহাজ কৌশিক বলেন, ‘হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতা ২৫০ জনের হলেও বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৪৫০ জনের মত রোগী ভর্তি থাকছেন। রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় ডাক্তার ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে জনবল সংকট থাকার কারনে। আগে ১০০ শয্যার হাসপতালে যে জনবল ছিল এখন এটি ২৫০ শয্যায় উন্নিত হলেও শুধু কিছু সংখ্যক আউটসোশিং জনবল বৃদ্ধি করার মধ্য দিয়ে এখানকার কার্যক্রম চলছে। সীমিত সামর্থের মধ্যেই আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।

এআরএস

Link copied!