ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

খুলনায় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আমিন হত্যায় দু’জনের যাবজ্জীবন

খুলনা ব্যুরো

খুলনা ব্যুরো

ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩, ০৪:০১ পিএম

খুলনায় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আমিন হত্যায় দু’জনের যাবজ্জীবন

মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমিন উদ্দিন হত‌্যা মামলায় দু’আসা‌মি‌কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দি‌য়ে‌ছেন আদালত। 

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, রূপসা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা আমজাদ মিনা ও সাবাজ হালদার। একই সা‌থে তা‌দের ২০ হাজার টাকা জ‌রিমানা, অনাদা‌য়ে আরও ৩ মা‌সের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। রায় ঘোষণার সময় আসা‌মিরা আদাল‌তে উপ‌স্থিত ছি‌লেন।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) খুলনার জেলা ও দায়রা জজ আদাল‌তের বিচারক মীর শ‌ফিকুল আলম। রা‌য়ের বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রেন রাষ্ট্রপ‌ক্ষের আইনজীবী মোঃ এনামুল হক।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৭১ সালের ১৯ অক্টোবর রাতে আসামি সাবাজ হালদার, আমজাদ মিনা ও জলিল হাওলাদারসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জন হাতে রাইফেল, বন্দুক ও রামদাসহ ধারালো অস্ত্রের মুখে আমিন উদ্দিন শেখকে তার বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। তাকে তার বাড়ির অদূরে একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। আসামিরা আমিন উদ্দিনের বুকে গুলি এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা কেটে হত্যা করে। হত্যার পর মাথা পুকুরের পানিতে ফেলে দেয় এবং সেখান থেকে আসামিরা চলে যায়। পরে বাদীর ভাই, সাক্ষী ও ভাবী তার পিতার লাশ জড়িয়ে কান্নাকাটি করেন এবং তার পিতার খন্ডিত মাথা খোঁজাখুজি করেন। পরদিন সকালে পুকুরের পানি থেকে খন্ডিত মাথা দেখে খুলনায় বসবাসরত বাদীর বড় ভাই বর্তমানে মৃত শেখ নিজাম উদ্দিনকে সংবাদ দিলে বাদীর বড় ভাই খুলনা থানা পুলিশের সহায়তায় বাদীর পিতার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করেন।

নিহত আমিন উদ্দিনের লাশ ১৯৭১ সালের ২০ অক্টোবর বিকেল ৩টার দিকে তাদের চাঁদপুর গ্রামের পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করে। পরে তারা বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন। ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে পুনরায় দেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার পরদিন তাদের চাঁদপুর গ্রামের বসত বাড়ীতে ফিরে আসেন। বাদী ও তার পরিবারের সকল সদস্যদের জীবন নাশের হুমকির কারণে এবং পরিবেশ না থাকায় বাদী পরবর্তীতে কোন মামলা করতে পারেননি। সরকার নতুন করে আইনানুগভাবে সুযোগ প্রদান করায় নিহত আমিন উদ্দিনের ছেলে এ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আলী নিজে বাদী হয়ে তার পিতার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি জানিয়ে আদালতে নালিশী দরখাস্ত দায়ের করেন। এ ঘটনায় রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদালতের নির্দেশে এফ.আই.আর ফরম পূরণ করে মামলা রুজু করেন।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি শেখ এনামুল হক বলেন, ১৯৭১ সালের ১৯ অক্টোবর আমিন উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের পর তার পরিবারের সদস্যদের জীবনের হুমকি থাকার কারণে তখন মামলা করতে পারেননি। পরবর্তীতে ২০১০ সালে নিহতের ছেলে এ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তিন আসামির মধ্যে জলিল হাওলাদার মৃত্যু হয়েছে। আর আজ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আসামি সাবাজ হালদার ও আমজাদ মিনাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

কেএস 

Link copied!