Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪,

বৈষম্যের অভিযোগে রাঙ্গামাটিতে মানববন্ধন করেছে পিসিসিপি

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

মার্চ ৬, ২০২৩, ০৫:০২ পিএম


বৈষম্যের অভিযোগে রাঙ্গামাটিতে মানববন্ধন করেছে পিসিসিপি

পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষাবৃত্তি, কোটা ও চাকরি ক্ষেত্রে বাঙালি শিক্ষার্থীদের সাথে সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের অভিযোগ এনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বাঙালি ছাত্র পরিষদ রাঙ্গাামাটি জেলা শাখা।

সোমবার (৬ মার্চ) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে তিন ঘণ্টা ব্যাপী এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে অধিকার বঞ্চিত রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষেরা উপস্থিত ছিলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি মোঃ হাবীব আজম এত সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ (পিসিএনপি‍‍`র) কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মোঃ মজিবর রহমান মজিব। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পিসিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির মহা-সচিব ও বাঘাইছড়ি পৌরসভার (সাবেক) মেয়র মোঃ আলমগীর কবির, সহ-সভাপতি কাজী মোঃ জালোয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, পিসিসিপি রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজ শাখার আহ্বায়ক মোঃ শহিদুল ইসলামও সদস্য সচিব রাজু আহম্মেদ প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী মজিবর রহমান বলেন, পার্বত্য অঞ্চলকে অনগ্রসর অঞ্চল হিসেবে উল্লেখ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, চাকরি, উচ্চশিক্ষা বৃত্তি, ব্যবসা-বাণিজ্যে নানা রকম কোটা ও সুযোগ-সুবিধা চালু করেছে সরকার। তবে একই এলাকায় বসবাস করে বর্তমানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী গুলো থেকেও পিছিয়ে পড়া এবং জনগোষ্ঠীর অর্ধেকের চেয়েও বেশী হয়েও তা পাচ্ছে না বাঙালিরা।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে শুধুমাত্র চাকমারা পার্বত্য চট্টগ্রামে মোট জনগোষ্ঠীর ২৭% আর সারাদেশের মূল জনগোষ্ঠীর থেকে ১% এর কম হয়েও চাকমা জনগোষ্ঠীর শিক্ষার হার ৭৪% আর সারা বাংলাদেশের শিক্ষার হার ৭৩%। তাহলে চাকমারা সারা বাংলাদেশের শিক্ষার হারের চাইতেও তারা এগিয়ে গিয়েছে শুধু মাত্র কোটা সুবিধার কারণে।

অন্যদিকে বাঙালিরা পার্বত্য চট্টগ্রামে মোট জনগোষ্ঠীর ৫১% হয়েও শিক্ষার হার ২৪%। তাই শিক্ষা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রকৃত পক্ষে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হলো অউপজাতি তথা বাঙালিরা। সরকারের উচিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মধ্যে যারা এগিয়ে গিয়েছে বেশী তাদের সকল কোটা বাতিল করে বাঙালিসহ অন্যান্য পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র জাতি ম্রো, খেয়াং, গুর্খা, চাক, বম, লুসাই, পাংখোয়াদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি, কোটা ও চাকরি সুবিধা দেওয়া।

তাই অবিলম্বে সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে জনসংখ্যানুপাতে সকল সুযোগ-সুবিধা বণ্টন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে একজন বাঙালি চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়ার দাবী জানান বক্তারা।

Link copied!