Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪,

মহাদেবপুরে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে শালিসে ক্ষমা পেলেন হাত ধরে

নওগাঁ প্রতিনিধি :

নওগাঁ প্রতিনিধি :

মার্চ ২৮, ২০২৩, ০৭:০০ পিএম


মহাদেবপুরে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে শালিসে ক্ষমা পেলেন হাত ধরে

নওগাঁর মহাদেবপুরে গৌড় মন্ডল নামে এক মিল মালিকের বিরুদ্ধে দুই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে বেদম মারপিট করে একজনের হাত ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগে আয়োজিত শালিস বৈঠকে হাত ধরেই ক্ষমা পেয়েছেন। 

রোববার (২৭ মার্চ) দিবাগত গভীর রাতে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে এ শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। 

উপজেলার সফাপুর ইউনিয়নের তাতারপুর গ্রামের বাসিন্দা গৌড় মন্ডল সদর ইউনিয়নের চকগোবিন্দ ঈদগাহপাড়া এলাকায় মেসার্স সাকিব রাইস মিল ভাড়া নিয়ে ব্যবসায় পরিচালনা করে আসছিলেন। উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ হোসেনপুর গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোস্তফা (৩৫) ও হারুনুর রশিদের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৩) তার মিল থেকে নিয়মিত ধান ঝারার পর ফেলে দেওয়া ধুলো প্রতিবস্তা একশ’ টাকা দামে কিনে নিতেন। 

গত শনিবার সকালে যথারীতি তারা কয়েক বস্তা ধুলো নিজেরাই বস্তায় ভরে নেন। কিন্তু মিলের কর্মচারিরা অভিযোগ করেন যে, বস্তায় ধুলোর সাথে কিছু ধানও ভরে নেয়া হয়েছে। বস্তা খুলে ধুলোর সাথে মিশ্রিত সামান্য ধান পাওয়া যায়। ধান চুরির অভিযোগে কর্মচারিরা মোস্তফা ও আলমগীরকে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে গৌড় মন্ডল মিলে গিয়ে তাদেরকে বেদম মারপিট করেন। 

পরে মারাত্মক আহত অবস্থায় তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। সেখানে মোস্তফার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা জানান, মোস্তফার একটি হাত ভেঙ্গে গেছে। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দারুন তোলপাড় শুরু হয়। ওই গ্রামের দলে দলে মানুষ রোববার সন্ধ্যায় সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট এসে এর বিচার দাবি করেন। চেয়ারম্যান গভীর রাতে অভিযুক্ত গৌড় মন্ডলকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে আনলে সেখানে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে থানা পুলিশ সেখানে অবস্থান নেয়। সেখানে আয়োজিত বৈঠকে মিল মালিক তার দোষ স্বীকার করলে আহতদের বড় ভাইয়ের হাত ধরে ক্ষমা নেন।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত মিল মালিক গৌড় মন্ডল জানান, চুরির অভিযোগে তিনি মোস্তফা ও আলমগীরকে প্রহার করেছেন। তবে মারটা একটু বেশি হয়েছে। মোস্তফার বড় ভাইয়ের হাত ধরে ক্ষমা চেয়েছেন বলেও জানান তিনি।
ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ হাসান তরফদার শাকিল জানান, যারা পিটন খেয়েছেন তারাই মিমাংশার প্রস্তাব দেয়ায় তিনি শালিসের আয়োজন করেন।

মহাদেবপুর থানার এসআই শামীনুর রহামন জানান, পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতেই শালিস বৈঠক হলেও এব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি। পুলিশ মূলত জনরোষ ঠেকাতেই সেখানে যায়।

আরএস

Link copied!