Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

অপহরণের দশ দিনেও মেলেনি সন্ধান

রংপুর প্রতিনিধি

রংপুর প্রতিনিধি

মে ৩০, ২০২৩, ০৬:০৭ পিএম


অপহরণের দশ দিনেও মেলেনি সন্ধান

দুই বছরের শিশু মোহাম্মাদের কান্না যেন কোন শান্তনাতেই থামছে না। সেই সাথে ছয় বছরের কন্যা সন্তান আছিয়া সেও তার বাবার ছবি হাতে নিয়ে বাবাকে ফিরে পাওয়ার অপেক্ষার প্রহর গুনছে।

শিশু দুই সন্তানকে সান্তনা দেয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন অপহৃতার স্ত্রী হাসনা বেগম। এটি রংপুরের একটি অপহরণ ঘটনা।

মঙ্গলবার (৩০ মে) রিপোর্টার্স ক্লাব, রংপুর এ অপহরণ হওয়া ছেলে কাওছার হোসেন (সাদী) কে উদ্ধারের জন্য সংবাদ সম্মেলন করে পরিবারের সদস্যরা।

বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার দশ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ছেলেকে ফিরে না পাওয়ায় হতাশা উদ্বিগ্নে দিশেহারা বৃদ্ধ পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা (অব. সেনা সদস্য) সাইদুর রহমানসহ তাঁর পরিবার সংবাদ সম্মেলনে ছেলেকে ফিরে পেতে আকুতি জানিয়েছেন।  

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাদী’র পিতা বীরমুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান বলেন, আমার বাড়ী রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ইমাদপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর দিগর গ্রামে।

গত ২১ মে ২০২৩  দুপুর আনুমানিক সোয়া ১২ টার দিকে আমার নিজ বাড়ি থেকে আমার ছেলে কাওছার হোসেন ওরফে সাদি (৩০) কে অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জন ব্যক্তি সাদীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা সুইচগেইট মোড় সাদী টেলিকম দোকানের কথা বলে নোহা মাইক্রোযোগে নিয়ে যায়।

সেই থেকে আজ ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিনই রাতে রংপুর মিঠাপুকুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। এরপর তার কোন সন্ধান পাওয়া না যাওয়ায় ঘটনার ৬ দিনের মাথায় মিঠাপুকুর থানা কর্তৃপক্ষ একটি সাধারণ ডায়েরীর পরামর্শ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২৭ মে’২৩ তারিখে একটি সাধারণ ডায়েরী করি। যার নং-২০৩৮।

এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে অপহৃত সাদীর পরিবারের পক্ষে তার পিতা বীরমুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান, বৃদ্ধা মা আফরোজা বলেন, আমার ছেলে সাদীর বয়স ৩০ বছর। দীর্ঘ এই সময়ে তার নামে কোনো ধরনের অভিযোগ আমরা শুনিনি। বরং সে একজন পরহেজগার মানুষ।

এ সময় অপহৃত সাদীর স্ত্রী হাসনা বেগমসহ তার দুই শিশু সন্তান আছিয়া (৬) ও মোহাম্মদ আলী (২) কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। সাদীর মেয়ে শিশু আছিয়া তার বাবার ছবি হাতে বলছিল আমার বাবাকে এনে দেন। আর শিশু মোহাম্মাদ বার বার কান্না করেছিল বাবার কাছে যাওয়ার জন্য। এসময় সংবাদ সম্মেলন চলাকালে সাদীর পরিবার-পরিজনের কান্নায় সবার মাঝে নিস্তব্ধতা নেমে আসে।

এ বিষয়ে জানতে মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমানের সাথে ফোনে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। 

পরে সংশ্লিষ্ট জিডির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মামুনুর রশিদ এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা জিডির প্রাথমিক তথ্যানুসারে ঘটনাস্থলে যাই এবং সাদীর বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করি। তার বিরুদ্ধে খারাপ কোনো অভিযোগ পাইনি। তাকে উদ্ধারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এইচআর

 

 

Link copied!