বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
জুন ২৪, ২০২৩, ০৫:৫৬ পিএম
বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
জুন ২৪, ২০২৩, ০৫:৫৬ পিএম
মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড বালুচর এলাকার জনসাধারনের জনদূর্ভোগ প্রকট আকার ধারণ করেছে। ১ শত ফুট ড্রেনেজের জন্য অল্প বৃষ্টিতে বেশ কয়েকটি বাড়িতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। পরিকল্পিত ড্রেনেজ না থাকায় দুটি পুকুরে নর্দমার পানি ঢুকে এগুলো দিয়েই লোকজন অজুগোসল করতে হয়।
ভুক্তভোগীরা দুর্ভোগ সমাধানে পৌর মেয়রের বরাবরে আবেদন করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। তারা এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য পৌর মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট জোরালো দাবি করেছেন ।
সরেজমিনে দেখা যায় বড়লেখা পৌরসভারটি দ্বিতীয় গ্রেড্রে হলে ও নাগরিক সেবার কোন উন্নতি হয়নি। পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বালুচর এলাকায় গিয়ে দেখা যায় এ ওয়ার্ডের নিমার আলীর বাড়ির সম্মুখে একটি কালভার্ট রয়েছে এ কালভার্টের পানি নিষ্কাশনের প্রায় ১ শত ফুট ড্রেন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ১ শত ফুট ড্রেনেজের জন্য বেশ কয়েকটি বাড়িঘর অল্প বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। পুকুরে মাছ বের হয়ে যায়। প্রায় ৩০ একর ফসলি জমির ফসল করতে পারছে না এসব এলাকার কৃষকরা । কয়েকটি পুকুরের মাছ বের হয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এ ওয়ার্ডের লোকজন। ড্রেনেজ না থাকায় ওয়ার্ডের সিসিঢালাই রাস্তার নিচের মাটি পানির চাপে সরে যাচ্ছে। রাস্তার নিচের মাটি সরে যাওয়ায় লোকজন যানবাহন দিয়ে ভারি মালামাল আনা নেওয়া থেকে বিরত রয়েছে। মাত্র ১ শত ফুট ড্রেনেজের নতুন করে কয়েকটি বাড়িঘর জলাবদ্ধতা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকা ঘুরে দেখা যায় কামরুল মিয়া, নিমার মিয়া, মনির উদ্দিন, কমলা বেগম, চান্দই মিয়া সুরুজ আলী, সুমন মিয়া রোকিয়া বেগম সহ অনেকের বাড়িতে অল্প বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করছে ফলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের ।
এ ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ নেতা সইফ উদ্দিন বলেন, মেয়রের নিকট দু দফা আবেদন করার পরও কোন প্রতিকার পাইনি গত মঙ্গলবার আমরা কয়েকজন মেয়রের বাড়িতে যাই তিনি আসবেন, লোক পাঠাবেন কোনটাই হলো না।
আব্দুল গনি, মাসুক মিয়া, নিমার আলী,নুরুজ আলী সহ অনেকে জানান এ ওয়ার্ডের সমস্যার কথা জানান। তারা বলেন ব্যক্তি উদ্যোগে সুমন মিয়া পাইপ বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থ্যা করেন কিন্তু কোন কাজ হয়নি।
এব্যাপারে পৌর মেয়র আবু ইমাম মোঃ কামরান চৌধুরী মুঠোফোনে জানান, আমাদের কোন বরাদ্দ নেই, টেণ্ডার নেই কোন জন ও জায়গা দিতে চায়না তাই ড্রেনটি করা যাচ্ছে না। কাউকে না জানিয়ে যেখানে সেখানে বাড়ি ঘর করার ফলে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।
আরএস