Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪,

ভূয়া জামিন করিয়ে দেয়া চক্রের মূল হোতা রংপুরে গ্রেপ্তার

রংপুর ব্যুরো

রংপুর ব্যুরো

আগস্ট ২৩, ২০২৩, ০৮:০৩ পিএম


ভূয়া জামিন করিয়ে দেয়া চক্রের মূল হোতা রংপুরে গ্রেপ্তার

উচ্চ  ও নিম্ন আদালতের ভূয়া জামিন করিয়ে দেওয়া চক্রের মূল হোতা আবুল হোসেনসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে রংপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভিস্টেকেশন (পিবিআই)  কর্মকর্তা জাকির হোসেন  সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চত করেছেন।

তিনি জানান, গত বছরের ৮ জানুয়ারি বদরগঞ্জ থানায় আব্দুল মুনিম নামে একজনের বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় কারাগারে যান আব্দুল মুনিম। পরে ওই আসামীকে জামিন করার জন্য উঠে পড়ে লাগে একটি চক্র।  গত বছরের ২৩ মার্চ ওই চক্রের মূল হোতা আবুল হোসেন মোহুরী আসামী আব্দুল মুনিমকে জামিন কারার জন্য উচ্চ আদালতের আইনজীবি আল আমিন এর সহকারী মোঃ ওয়াহেদুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করেন। 

জামিন করার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট মামলালার এজাহার, বাদির অভিযোগ, সুরতহাল রিপোর্ট, ভিসেরা রিপোর্ট, আসামী ফরোয়ার্ডিং এবং আদালতের ক্রিমিনাল মিস  কেস নং-৯৯/২৩ এর জাল করে জামিনের আবেদনের লক্ষ্যে কাগজপত্র প্রেরণ করেন। সেই অনুযায়ী উচ্চ আদালত উক্ত আসামীর জামিন প্রদান কারেন। পরবর্তীতে আবুল হোসেনের প্রদানকৃত কাগজপত্র জাল ও ভূয়া এবং সৃজনকৃত মর্মে উচ্চ আদালতে প্রতিয়মান হওয়ায় আসামী আব্দুল মুনিম এর জামিন বাতিল করে করে উল্টো তার নামে উচ্চ আদালত নির্দেশে ডিএমপি শাহবাগ থানায় চলতি বছরের ১৬ আগষ্ট শাহবাগ থানায় মামলা হয় যার নং ১৪/২৩। উক্ত মামলা উচ্চ আদালতের নির্দেশে তদন্তের রংপুর পিবিআইকে প্রদান করা হয়। 

একই অপরাধে আসামী আবুল হোসেন মোহুরী নামে চলতি বছরের ১৩ জুন শাহবাগ থানায় পৃথক দুটি মামলায় রুজু করা হয়। যার নং ১৮ ও ১৯। উচ্চ আদলতের নির্দেশে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভিস্টেগেশন (পিবিআই) অভিযান চালিয়ে আবুল হোসেন মোহুরীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষাম হয়। পরবর্তীতে আবুল হোসেনের দেয়া তথ্য মতে  জাল কাগজপত্র তৈরীর কম্পিউটার, প্রিন্টার  সহ অপর আসামী মোক্তার আলীকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। 

সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই কর্মকর্তা জাকির হোসেন আরো বলেন,  রংপুর জেলার পীরগাছা থানার রাজবল্লভ এলাকার মৃত আজগার আলীর ছেলে আবুল হোসেন রংপুর জজকোর্টে ২০০০ সাল থেকে মূহুরী কাজ করতো। ২০১৭ সালে আবুল হোসেনের নামে প্রতারণার মামলা হয় এবং সেই মামলায়  আবুল হোসেন এক বছর হাজতবাস খাটেন এবং  জামিনে মুক্তি পায়। 

পরে ২০২০ সালে তার মোহুরীর লাইসেন্স বাতিল হয়। লাইসেন্স বাতিল হওয়ার পর থেকে আবুল হোসেন রংপুর  নিম্ন আদালতের ভূয়া কাগজপত্র তৈরিসহ নানা অপকর্মে জরিয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে একাধিক আসামীর স্বজদের নিকট মোট অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে।

আরএস

 

Link copied!