Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪,

তিস্তায় পানি বেড়ে আবারও বিপৎসীমার ওপরে

হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

আগস্ট ২৬, ২০২৩, ১০:০১ এএম


তিস্তায় পানি বেড়ে আবারও বিপৎসীমার ওপরে

দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যার ফলে বন্যার পানিতে ডুবে গিয়ে ফসলহানীর শঙ্কায় চিন্তিত কৃষকরা।

শনিবার (২৬ আগস্ট) সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এর আগে শুক্রবার সকাল থেকে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড বিপৎসীমার দশমিক ১৩ সেন্টিমিটার ওপরে।

স্থানীয়রা জানান, কয়কদিনের গরমের পর টানা বৃষ্টি শুরু হয়। এতে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বেড়ে যায়। সেটি বেড়ে হাতীবান্ধার কয়কটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

এদিকে জেলার ৫টি উপজেলার ভোটমারী, তুষভান্ডারের আমিনগঞ্জ, কাকিনা, পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা, ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অনেকের ফসলের খেত বন্যার পানিতে ডুবে গিয়ে ফসলহানীর শঙ্কায় চিন্তিত কৃষকরা। হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধি হওয়ার ফলে তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের পানিবন্দি পরিবারগুলো শিশু, বৃদ্ধ ও গবাদি পশুপাখি নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ফেরদৌস আলম বলেন, হঠাৎ করে তিস্তার পানি বৃদ্ধির খবর পাওয়া গেছে। তাই তীরবর্তী মানুষদের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। তাদের তালিকা করে ত্রাণ দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী (পাউবো) আসফাউদ্দৌলা বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ার কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ৪৪টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের পানিবন্দী পরিবারদের তালিকা করে দেওয়া হয়েছে। তালিকা হয়ে গেলে শুকনো খাবার বিতরণ করা হবে। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে।

আরএস

Link copied!