Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪,

ব্রি হাইব্রিড ধান-৭: বেশি ফলনের স্বপ্ন চাষির

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩, ০২:৪১ পিএম


ব্রি হাইব্রিড ধান-৭: বেশি ফলনের স্বপ্ন চাষির

ব্রি হাইব্রিড ধান-৭ চাষ করে সফল হয়েছেন বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মধ্য খোন্তাকাটা গ্রামের চাষিরা। আউশ মৌসুমের এই ধান চাষ করে হেক্টর প্রতি ৭ টনের বেশি ফলনের আশা করছেন তারা। যা কৃষকদের মতে বাম্পার ফলন। 

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহযোগীতায় গত পহেলা মে মধ্য খোন্তাকাটা গ্রামে ১৫০ বিগা জমিতে ব্রি হাইব্রিড ধান-৭ চাষ করেন একই এলাকার কৃষক ফারুক জোমাদ্দার,হালিম হাওলাদারসহ প্রায় ১০জন কৃষক। যা বীজ বপন থেকে শুরু করে ১১৫ দিনের মাথায় ফলন এসেছে। তাইতো বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে চোখে পড়ছে সবুজ গাছে সোনালী ধানের বাতাসে দোল খাওয়ার অপরুপ দৃশ্য। আর কিছুদিন পরেই শুরু হবে কৃষকের স্বপ্ন সোনালী ধান কেটে ঘরে তোলার সময়। তাইতো ধানের ফলন দেখে খুশি ওই মাঠের চাষীরা।

এ বিষয়ে কৃষক ফারুক জোমাদ্দার ও হালিম হাওলাদার বলেন,গতবছর তারা একই এলাকার একশ বিগা জমিতে ব্রি ধান-৭ চাষ করে সফল হয়েছেন। তাই তারা এবছর দেড়শ বিগা জমিতে ব্রি ধান-৭ চাষ করেছেন। যার ফলন বাম্পার হয়েছে।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় খোন্তাকাটা ব্রি হাইব্রিড ধান-৭ প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন,গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার এবং প্রধান ব্রি ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, সাইন্টিফিক অফিসার সৃজন চন্দ্র দাস, মো. খালিদ হাসান তারেক ও শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার।

এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন,গত অর্থবছর থেকে আমরা এ আউশ ধানটি চাষ করছি। গতবছর এখানে চাষাবাদ হয়েছিল একশ বিগা জমিতে। এবছর তা বাড়িয়ে দেড়শ বিগায় উন্নিত করা হয়েছে। ধানের ফলন যথেষ্ট ভাল হয়েছে । আগামীতে কৃষকরা এই ধান চাষে আরো আগ্রহী হবেন।

গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার এবং প্রধান ব্রি ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ব্রি হাইব্রিড ধান-৭ আউশ মৌসুমের একটি জনপ্রিয় ধান। এই ধানের জীবনকাল ১১৫দিনের মত এবং গড় ফলন ৭ টনেরও বেশি। চলতি বছর এই এলাকায় দেড়শ বিগা জমিতে ব্রি ধান-৭ চাষ হয়েছে। যার ফলন আসা করা যায় হেক্টর প্রতি ৭ টনের বেশি হবে এবং কৃষকরাও খুশি।
নাজমুল/এআরএস

Link copied!