Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪,

বালিয়াকান্দি পিআইও’র বিরুদ্ধে ৬ চেয়ারম্যানের অভিযোগ

বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

অক্টোবর ১০, ২০২৩, ১০:৫৩ এএম


বালিয়াকান্দি পিআইও’র বিরুদ্ধে ৬ চেয়ারম্যানের অভিযোগ

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা-স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ৬জন চেয়ারম্যান।

গত ৮ অক্টোবর বালিয়াকান্দি উপজেলার বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর বিশ্বাস, ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহম্মদ আলী মাষ্টার, নবাবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীর, জঙ্গল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কল্লোল কুমার বসু, নারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জহুরুল ইসলাম, বহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত অভিযোগ প্রদান করেন। তবে জামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একেএম ফরিদ হোসেন বাবু অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেননি।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোছা. নাসরিন সুলতানা গত ২০১৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে বালিয়াকান্দিতে যোগদান করেন। দীর্ঘদিন একই কর্মস্থলে থাকায় তিনি প্রতিনিয়ত দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা- স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নিচ্ছেন। এমনকি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা তার কাছে গেলেও তাদের নিকট থেকে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা দাবি করে, টাকা না দিলে সে তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে এবং বিল ছাড়করণে নানাবিধ তালবাহানা করে।

সম্প্রতি টিআর, কাবিখার কাজে তিনি বরাদ্দের ৩৫ ভাগ টাকা দাবি করছেন। ৩৫ ভাগ টাকা না দিলে কাজ শেষে বিল ছাড় করবেন না বলে তাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রীপরিষদের নির্দেশনা রয়েছে একজন কর্মকর্তা একই কর্মস্থলে তিন থাকবেন। তবে এ কর্মকর্তা বিধিবিধানের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ৭ বছর বালিয়াকান্দিতে চাকরি করছেন। তৃণমূলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ধাবাবাহিকতা রক্ষায় দুর্নীতিবাজ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানাকে বদলির দাবি জানান তারা।

অভিযোগের বিষয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা বলেন, চলতি অর্থ বছরে এ পর্যন্ত টিআর, কাবিখার কোন কাজ হয়নি। তাহলে চেয়ারম্যানদের কাছে টাকা দাবি করার অভিযোগটি হাস্যকর, যার কোন ভিত্তি নেই। আর বদলীর বিষয়টি কর্তৃপক্ষের বিষয়।

এআরএস

Link copied!