ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫
Amar Sangbad

ঝিনাইদহের মহেশপুরে খেজুরের গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষীরা

সাইফুল ইসলাম, মহেশপুর (ঝিনাইদহ)

সাইফুল ইসলাম, মহেশপুর (ঝিনাইদহ)

অক্টোবর ৩১, ২০২৩, ০৭:১৩ পিএম

ঝিনাইদহের মহেশপুরে খেজুরের গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষীরা

ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে গাছিরা।  জেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা যায় গাছিরা খেজুরের রস বের করার জন্য গাছকে প্রস্তুত করে নলি ও ঠিলে(ভাড়) ঝুলিয়ে দিচ্ছে। তারা এই রস দিয়ে তৈরি করেন সুস্বাদু গুড় ও পাটালি। 

মহেশপুর উপজেলার মাঠ ঘাট এবং রাস্তার দু‍‍`ধারে সারি সারি অসংখ্য খেজুর গাছ ছিলো একটা সময়। বর্তমানে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে চলেছে এসব খেজুর গাছ। কিন্তু এখনো যে গাছ গুলো আছে তা থেকেই শীতের রস সংগ্রহের কাজ চালাচ্ছেন গাছিরা। ছয়ঋতুর দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। ছয় ঋতুর মধ্যে হেমন্ত একটা উল্লেখযোগ্য ঋতু, আর এই ঋতুতেই আসে শীত। সারা বছর অবহেলায় পড়ে থাকা খেজুর গাছ গুলোর কদর বেড়ে গিয়েছে এখন। এখনো শীতের প্রভাব না পড়লেও খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছেন অনেকেই। গাছের সংখ্যা অল্প থাকার কারণে চাহিদা অনুযায়ী রস পাওয়া যাবে না আশঙ্কা  করছে গাছিরা।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামের গাছিরা অন্য মৌসুমে তারা বিভিন্ন কাজ করে থাকেন কিন্তু শীত এলেই খেজুর গাছ কাটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারা। এ অঞ্চলে খেজুর রসের পর্যাপ্ত চাহিদা থাকায় ভালো আয় করেন তারা। এছাডা শীতের সময় ধনী গরীব সকলের কাছেই খেজুরের গুড়ের বেশ চাহিদা। তারা আরো তাদের নিজেদের গাছের সংখ্যা খুব কম।বেশির ভাগই অন্যের গাছ কেটে রস সংগ্রহ করতে হয়।তাই গাছের মালিককে রসের একটা বড় অংশ দিতে হয়। তারপরেও প্রতি বছর রস ও গুড় বিক্রি করে লাভবান হন।এ ব্যাপারে গাছিরা আরো বলেন খেজুর গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায রস গুড় ও পাটালির দাম থাকে একটু চড়া।তব্ওু  এই রস নিতে ভুল করেন না সকল শ্রেণীর মানুষ। গাছের রস সংগ্রহের জন্য যে মাটির পাত্র পাতা হয় তা এই এলাকায় ভাড় বলে পরিচিত। কাচা রস প্রতি ভাড ১২০-১৫০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে,আর পাটালি প্রতি কেজি ৩০০-৪০০ টাকায় বিক্রি হয়।শীতের পুরো মৌসুমে চলে রস,গুড়,পিঠা পুলি ও পায়েস খাওয়ার পালা।এ ছাড়া খেজুর পাতা দিয়ে তৈরি করা হয় আকর্ষণীয় ও মজবুত শীতল পাটি। 

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সাবরিনা মাজাইন নাবিলা প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে খেজুর গাছের ভুমিকা অপরিসীম। খেজুর গাছ সংরক্ষণ কারার জন্য সরকারী ভাবে  বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে খেজুর গাছ লাগানোর জন্য চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

আরএস

 

Link copied!