Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪,

নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরতে সাগরে জেলেরা

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

নভেম্বর ২, ২০২৩, ০৫:০২ পিএম


নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরতে সাগরে জেলেরা

টানা ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে ছুটছেন বাগেরহাটের শরণখোলার জেলেরা। শুক্রবার (২ নভেম্বর) রাত ১২টার পরে উজেলার রায়েন্দা, সাউথখালীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।

সরকারি হিসেবে অন্ত ৫ হাজার নিবন্ধিত ইলিশ জেলে সাগরে যাওয়ার কথা রয়েছে। শুধু ইলিশ জেলে নয়, একই সময়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫ হাজারের অধিক জেলে শুটকি আহরণে রওনা দিয়েছেন।

এসব জেলেরা সুন্দরবনের দুবলার চর, মাঝের কিল্লা, মেহের আলীর চর, নারকেল বাড়িয়া ও শেলার চরে প্রায় ৫ মাস অবস্থান করে শুটকি আহরণ করবেন। নিষেধাজ্ঞার ফলে ইলিশের সঙ্গে অন্যান্য মাছও বেশি করে পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন সমুদ্রগামী জেলেরা।

এফবি মা-বাবার দোয়া ট্রলারের মাঝি ছগির হোসেন বলেন,অবরোধ শুরুর পর থেকে আজকের এই দিনের অপেক্ষায় ছিলাম। স্ত্রী, সন্তান পরিবার পরিজনের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আসছি।আল্লাহর নাম নিয়ে সাগরে যাচ্ছি, আশা করি এবার মাছ ভালো পাওয়া যাবে।

এফবি খায়রুল ইসলাম ট্রলারের জেলে শহিদ হাওলাদার বলেন, অনেকদিন ধরে সাগরে মাছ ধরি। আগে তেমন নিষেধাজ্ঞা ছিল না। কয়েক বছর ধরে মাঝে মাঝেই নিষেদ্ধাজ্ঞার কবলে পড়তে হয় আমাদের। এই সময়ে সরকার আমাদের সামান্য চাল দেয়, যাতে সংসার চলে না।

সাগরে মাছ ধরার কারণে নিষেধাজ্ঞার সময়ে স্থানীয় কেউ কাজেও নেয় না। এই সময়ে চালের সঙ্গে সরকার যদি আমাদের কোনো কাজের ব্যবস্থা করে দিত, তাহলে আমাদের মতো জেলেদের সংসার ভালোভাবে চলত।

শরণখোলা সমুদ্রগামী ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন জানান, জীবনের ঝুঁকি, ঋণের বোঝাসহ নানান শঙ্কার মধ্যে দিয়ে সাগরে মাছ আহরণ করি আমরা।

অবরোধ চলাকালীন সময়ে ধার দেনা করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়েছে, পাশাপাশি জাল, দড়িসহ অন্যান্য সরঞ্জাম করতে বেশ খরচ করতে হয় আমাদের। এসবের জন্য সরকারি সহায়াতা এবং সুদমুক্ত ঋণের দাবি করেন সমুদ্রগামী জেলেদের এই নেতা।

শরণখোলা উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার বলেন, অন্যান্য বছরের মতো এবারও শরণখোলার জেলে-মহাজনরা যথাযথভাবে নিষেধাজ্ঞা পালন করেছেন। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

এইচআর

Link copied!