Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪,

চট্টগ্রাম-৫ আসনে নিজ দলীয় প্রার্থী চায় আওয়ামী লীগ

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

নভেম্বর ২৩, ২০২৩, ০৩:২২ পিএম


চট্টগ্রাম-৫ আসনে নিজ দলীয় প্রার্থী চায় আওয়ামী লীগ

বাংলাদেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৩ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর চট্টগ্রাম-৫ আসন হাটহাজারীতে এমপি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন মাত্র তিনজন ব্যক্তি।

এ পঞ্চাশ বছর ধরে এলাকায় জনপদ ও শিক্ষা ব্যবস্থাসহ অবকাঠামো উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখেন চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সহ সভাপতি মরহুম এম আবদুল ওয়াহাব, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সনের তৎকালীন উপদেষ্টা মরহুম সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম।

দেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের হারিয়ে বিজয়ী হন চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সহ সভাপতি মরহুম এম আবদুল ওয়াহাব।

পরবর্তী ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি একাধারে ১৯৮৬ সালের ৭ মে অনুষ্ঠিত তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন।

তারপর ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের হারিয়ে বিজয়ী হন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপার্সনের তৎকালীন উপদেষ্টা মরহুম সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম।

তিনিও একই আসন থেকে একাধারে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও একই বছরের ১২ জুন অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ২০০১ সালের ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন।

তারপর আবারও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন নিয়ে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এক লাখ ৩২ হাজার ১৬৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম এক লাখ ৬ হাজার ৯৭৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান কল্যাণপার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবসর) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিমকে হারিয়ে বিজয়ী হন।

এদিকে দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ থেকে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নৌকার টিকিট না দেওয়াই নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েন। এবার দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাকর্মীদের যাচাই-বাছাই করে নৌকার টিকিট দিবেন বলেও আশা করেন মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অনুসারীরা।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা অন্যান্য দল থেকে প্রার্থী মনোনীত না করে যদি দলের একজন ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীকে মনোনীত করে তাহলে তার জন্য কাজ করবে বলেও বিভিন্ন সভা সমাবেশে বক্তব্যে বলেন।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উক্ত আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন দলের বিভিন্নস্তরের ১৪জন নেতা। তারা হলেন- চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুস সালাম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইউনুস গনি চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিলেট বিভাগীয় প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট মোহাম্মদ শামীম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বাসন্তী প্রভা পালিত, আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী, যুবলীগ নেতা নাছির হায়দার করিম বাবুল, মাহমুদ সালাউদ্দিন চৌধুরী, ডা. নূর উদ্দীন জাহেদ, মো. রাশেদুল ইসলাম, মুহাম্মদ শাহাজাহান চৌধুরী, মোহাম্মদ মইনুদ্দিন, মোহাম্মদ ইউনুছ ও মাসুদুল আলম।

এআরএস

Link copied!