চট্টগ্রাম ব্যুরো
নভেম্বর ৩০, ২০২৩, ০৭:১৪ পিএম
চট্টগ্রাম ১৫ সংসদীয় আসন সাতকানিয়া-লোহাগাড়া উপজেলায় উত্তাপে উত্তাল হয়ে উঠেছে। নৌকার মনোনীত প্রার্থী তৃতীয় বারের মত আবু রেজা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন নদভীর সাথে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাতকানিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে সদ্য পদত্যাগ করা এম এ মোতালেব আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাসের নিকট মনোনয়ন পত্র জমা দেন।
হাজার হাজর সমর্থকের সাথে দেখা গেছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা.আ.ম.ম মিনহাজুর রহমান, লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন হীরু, সাতকানিয়া পৌর মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের, লোহাগাড়া উপজেলা যুবলীগের বিশিষ্ট নেতা জাহেদুল কবির সুমন ও লোহাগাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি রিদওয়ানুল হক সুজন।
মোতালেবের শো-ডাউনের পর নৌকার প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন নদভীর অনুসারীরা মোতালেবের কুশপুত্তলিকা নিয়ে ঝাড়ু জুতার মিছিল করেন।
চট্টগ্রাম ১৫ আসনের রাজনীতির দৃশ্যপট গাণিতিক সূত্রকে হার মানাবে, মনোনয়নের পূর্বে আবু রেজা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন নদভী, কেন্দ্রীয় আ.লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম আমিন ও অপর কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার ছায়া এম এ মোতালেব মোট তিনটি গ্রুপে ছিলেন।
নদভী নৌকা পাওয়ার পর আমিনুল ইসলাম আমিন নদভীর সাথে থাকলেও তাঁর অনুসারীরা বিপ্লবের ছায়া মোতালেবের সাথে যোগ দিয়েছেন এবং দুই উপজেলায় বিপ্লবের অনুসারীরা মোতালেবকে নিয়ে শোডাউন করছেন। এতে সাধারণ ভোটার ও আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতা কর্মীর মধ্যে সংশয় বিরাজ করছে।
নৌকার তৃতীয়বারে প্রার্থী সাংসদ আবু রেজা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন নদভী বলেন, মোতালেব আ.লীগের সভাপতির পদ পদত্যাগ করে নির্বাচনে আসুক। এতে কোন সমস্যা নাই। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ পদবী ব্যবহার করে নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করলে দলের নেতাকর্মীরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবে। বিদ্রোহী প্রার্থী মোতালেব বলেন, দুই উপজেলার আ.লীগের নেতাকর্মীরা আমার সাথে আছেন। বিজয় সুনিশ্চিত। আসনটি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিবো।
এইচআর
