Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪,

রাজারহাটে লেপ-তোশক তৈরীতে ব্যস্ত কারিগর

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

ডিসেম্বর ২২, ২০২৩, ০৭:১৩ পিএম


রাজারহাটে লেপ-তোশক তৈরীতে ব্যস্ত কারিগর

বছরজুড়ে লেপের চাহিদা না থাকলেও শীত ও কনকনে ঠান্ডায় বিশেষ প্রয়োজন। গরমের সময় লেপের চাহিদা না থাকায় কাস্টমারের চাপ থাকেনা। তবে ঠান্ডা চলে আসলেই গরম কাপড়ের চাহিদা জন্য ব্যস্ত থাকি লেপ তৈরীতে।

আমরা গরমের দিনে হাফশার্ট পড়ে দিনরাত চলে গেলেও ঠান্ডা রাতে লেপ চাই-চাই এমন মন্তব্য করেন শুক্রবার বিকালে রাজারহাট উপজেলা সদর বাজারে সাইদুল মার্কেটে লেপ তৈরীতে ব্যস্ত ধনুকর মো. শহিদুল ইসলাম (৪৮)।

শহিদুল বলেন, অতীতের তুলনায় এবছরে চাহিদা একটু কম। প্রতিদিন এখন দুই একটা লেপ-তোশকের অর্ডার থাকে। নিজের কাজ নিজেই করি। অর্ডার বেশি হলে লেপ-তোশক জাজিম তৈরী করার জন্য ধনুকর নেই।

ধনুকরকে প্রতিটি লেপতোশক জাজিম তৈরীতে আলাদা মজুরি দেই এবং বিভিন্ন রকমের তুলা দিয়ে লেপ-তোশক জাজিম তৈরী করি। ক্রেতারা চাহিদা মোতাবেক অর্ডার করেন। ধনুকরদের মধ্যে ফিরে এসেছে আনন্দ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।

অনেক কারিগর আবার ব্যস্ত পুরাতন লেপ তোশক মেরামতে। ষড়ঋতুর দেশ আমাদের সোনার বাংলাদেশ। প্রতি বছর পৌষ ও মাঘ মাস শীতকাল। তবে অগ্রহায়ন মাসের মাঝামাঝি শীত শুরু হয়। তাই শীত মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ব্যবসায়ীরা গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী লেপ তোশক তৈরী করে দোকানে মজুদ করে রাখছেন।

উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে মানুষ তীব্র শীতের আশংকায় নতুন লেপ তোশক তৈরী করতে ভিড় করছেন। এসব পন্য বছরের অন্য সময় ঢিলেঢালা হলেও শীত মৌসুমে বিক্রি অনেক গুন বেড়ে যায়। কারিগরেরা তুলা পিটিয়ে হরেকরকম কাপড় দিয়ে তৈরী লেপ তোশক কভারে মুরিয়ে সুঁই সুতার ফোঁড়ে তৈরী করছেন।

রাজারহাট তুলা ঘরের মালিক আব্দুল আউয়াল বলেন, বিত্তবানরা শীতের আগেই নতুন লেপ তোশক তৈরী করেন। অনেকে পুরাতন লেপ তোশকের কভার পাল্টিয়ে নিচ্ছেন। তুলার মান ও পরিমাণের উপর ভিত্তি করে দাম নিদ্ধারন করা হয়।

এবছর জিনিসপত্রের দাম ও মজুরি বেশি হওয়ায় লেপ তোশকের তৈরীতে খরচ ১হাজার  থেকে ৩ হাজার টাকা। একই কথা বলেন রাজারহাটের প্রাত্তন তুলা ব্যবসায়ী হাবিল মিয়া।

সাদা তুলা ১০০ রঙিন ৭০ প্রকার ভেদে মেডিকেল ১৮০, ১২০, ৮০ সাদা ফোম ২০০ ফাইবার ৩০০ পলিফোম ৪০০ স্কম্বাট ১৮০ শিমুল ৩৫০-৪০০ তারপরও বাজারে শিমুল তুলা চাহিদা মোতাবেক পাওয়া যায় না।

গত বছরের তুলনায় কাপড়ের গজ  প্রতি ও তুলায় কেজি প্রতি ১৫-২০টাকা বেশি। রাজারহাট উপজেলা সদর বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমানে ব্যবসায়িদের ঠান্ডা মোকাবিলায় গরম পোশাক বিক্রি গতবছরের তুলনায় এখনো চাহিদা অনেক কম।

এইচআর
 

Link copied!