চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে হাশেম রেজার ব্যাপক গণসংযোগ

সাধারণ মানুষের দাবি বিপুল ভোটে ট্রাকই জয়লাভ করবে

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জননেতা হাশেম রেজা ব্যাপক গণসংযোগ করছেন। দল-মত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জীবননগর, দামুড়হুদা উপজেলার গ্রামগঞ্জ ও শহরজুড়ে। গ্রামাঞ্চলের মোড়ে মোড়ে চা-দোকানে হাশেম রেজার ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে দিনভর চলছে খোশগল্প ও আলোচনা। একাদশ জাতীয় সংসদের বর্তমান এমপির বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। তাদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ। 

বিগত কয়েকটি নির্বাচনে জয়লাভ করে ওই সংসদ সদস্য এলাকাবাসীর কোনোই উন্নয়ন করেননি, করেছেন নিজেদের উন্নয়ন। এসব আলোচনা থেকে সাধারণ মানুষের মুখ ফুটে বেরিয়ে আসছে— এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তরুণ ও উদীয়মান জননেতা, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপকমিটির সদস্য আবু হাশেম রেজাকে ট্রাক প্রতীকে জিতিয়ে আনার বিষয়টি। তাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাশেম রেজা রয়েছেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। এলাকাবাসীর দাবি, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে ট্রাক প্রতীকে চুয়াডাঙ্গা-২ আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন হাশেম রেজা। গতকাল সোমবার জীবননগর ও দামুড়হুদা এলাকার সাধারণ  ব্যবসায়ী, মুদি দোকানি, চা-দোকানিসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে হাশেম রেজা গণসংযোগ করেন।

জীবননগর ও দামুড়হুদার বিভিন্ন  এলাকায় গতকাল   সোমবার বিশাল জনগোষ্ঠীর উপস্থিতিতে জননেতা হাশেম রেজার পথসভা, উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা চলমান রাখতে হলে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করতে হবে। সেজন্য আমাদের সবাইকে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের মাঝে তুলে ধরতে হবে। হাশেম রেজা বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী আমি চুয়াডাঙ্গাবাসীর সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে চলেছি অবিরাম। আমি সার্বক্ষণিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের মানুষের পাশে থেকেছি।  নেত্রীর নির্দেশনামতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-২ আসন থেকে ট্রাক প্রতীক নিয়ে পরিবর্তনের আশায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। আমার জনপ্রিয়তা দেখে অনেক নেতা খেই হারিয়ে দিগ্বিদিক উল্টাপাল্টা বক্তব্য দিচ্ছেন। এতে আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেয়ে আমার জনপ্রিয়তাই মানুষের মধ্যে বেশি আকারে ছড়াচ্ছে বলে মনে করি।

হাশেম রেজা দৃঢ়কণ্ঠে আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের নেত্রী, গণতন্ত্রের নেত্রী এবং বিশ্বনন্দিত দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রনায়ক। তার হাত ধরেই ডিজিটাল বাংলাদেশ আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। তাই শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় বসাতে হবে। তা না হলে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা ছিটকে যাবে।  অতএব সময় এসেছে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের ব্যাপক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে এবং ক্ষমতালোভীদের পরিবর্তনের তাগিদে ট্রাক প্রতীকে ভোট দিয়ে দেশকে উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর। আমি সে লক্ষ্যে ক্ষুদ্র একজন সেবক হিসেবে আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।

পথসভা ও উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নতিপোতা ইউনিয়ন আ.লীগ সহসভাপতি মোহাম্মদ, জুড়ানপুর ইউনিয়ন আ.লীগ সহসভাপতি আইন উদ্দিন মেম্বার, উথুলী ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড আ.লীগ সভাপতি সরফরাজ আলী, কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মন্টু,  নাটুদাহ ইউনিয়ন আ.লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক জসিমউদ্দীন মেম্বার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও জিএস মো. নাসির উদ্দিন, ওয়ার্ড আ.লীগ সহসভাপতি আফজাল হোসেন, কালিয়াবখরী গ্রামের ইউপি সদস্য পিজির আলী, আশরাফুল মেম্বার, আ.লীগ নেতা সিরাজ শেখ, আবু বক্কর, সাইদুর রহমান, নাটুদাহ ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জীবননগর উপজেলা যুবলীগ নেতা সাহাবুদ্দিন খান, আলম বিশ্বাস, কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আ. মজিদ, দেলোয়ার হোসেন, আলফাজ উদ্দিন মন্টু কালু, পিন্টু, সাগর, আসা, খালিদ, তরিকুল ইসলাম, খোকন, লক্ষ্মীপুরের সাইদুর রহমান, জুড়ানপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মশিউর রহমান তুষার, জাকির বিশ্বাস, জাহাঙ্গীর আলম, ডা. আশরাফুল ইসলাম, উথুলী ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা শরিফুল, নাটুদাহ ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আপেল উদ্দিন, চান্দু, নতিপোতা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা রিপন, তাজু, শাহিন, রিপন হালদার, ছাত্রলীগ নেতা রনজু, আলামিন, রকি, সৌরভ, শুভ, সৈকত, সুজন, সজীব, রিমন, মাসুম, হাসান প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জীবননগর উপজেলা যুবলীগ নেতা জেবা।

আরএস