Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪,

কুড়িগ্রামে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

জানুয়ারি ৪, ২০২৪, ০৮:২৫ পিএম


কুড়িগ্রামে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা

কুড়িগ্রামে শৈত্য প্রবাহ না হলেও ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডার দাপটে মানুষের জবুথবু অবস্থা। রাত হলে শুরু হয় বৃষ্টির মতো ঘন কুয়াশা চলে সকাল পর্যন্ত। দিনের বেলা রোদ উঠলেও আবার শুরু হয় বিকাল থেকে ঠান্ডার প্রকোপ। ফলে এ শীতে জেলার চরাঞ্চলসহ নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট বেড়েছে। অন্যদিকে বাড়তে শুরু করেছে বৃদ্ধ ও শিশুদের শীতজনিত রোগ।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সদর হাসপাতালের ডাইরিয়া ওয়ার্ডে দেখা যায়, এক বেডে ৩-৪ জন করে অসুস্থ শিশুদের নিয়ে বসে আছে তাদের মা। গত দুদিনে প্রায় ৫০টি শিশু ডাইরিয়া নিয়ে ভর্তি হয়। বেড সংকুলান না হওয়ায় হাসপাতালের মেঝেতে অনেক মা-বাবা তাদের অসুস্থ শিশুকে ভর্তি করেছে। এছাড়াও আটতলা ভবনের ৪ তলায় শিশু ওয়ার্ডে দেখা যায়, সর্দি-জ্বর, কাশি,শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া ১০-১২টি শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে।

উত্তর মধ্যকুমরপুর এলাকার মাসুদা বেগম জানান, ঠান্ডায় আমার ১বছর বয়সের ছেলে সকালে পাতলা পায়খানা শুরু হলে দ্রুত অটোরিকশা নিয়ে সদর হাসপালে ভর্তি করি। রোগীর  চাপ বেশি থাকায় বেড না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছি।

পাঁচগাছি ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল খালেক বলেন, গত দুই দিনের কনকনে ঠান্ডার কারণে আমার ১০ মাসের ছেলে সকালে হঠাৎ করে পাতলা পায়খানা দেখা দিলে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসি।

হাসপাতালের ওয়ার্ডের ডিউটিরত নার্স জানায়, এখনো সেরকম শীতকালীন রোগীর বেশী ভিড় নাই। তবে গত দুইদিনের ঠান্ডার কারণে গ্রাম থেকে আসা কিছু শিশু ভর্তি করছে।

কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিস মার্কেটের কাদের ফার্মাসির স্বত্বাধিকারী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, বর্তমানে আমার দোকানে প্রতিদিন প্রায় ৩০-৪০ টি রোগীর প্রেসক্রিপশন পাই। এদের বেশীরভাগই বৃদ্ধ ও শিশু রোগী।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের তথ্যনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ১ডিগ্রি সেলসিয়াস। 
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহিনুর রহমান সরর্দার জানান, গরমের দিনে রোগী ভর্তি ছিলো সাড়ে ৪শ থেকে ৫০০। সেই তুলনায় শীতকালে রোগী ভর্তির সংখ্যা অনেক কম।

বর্তামানে হাসপাতালে প্রায় ৪০০ রুগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে শিশু রয়েছে ৭১ জন। তবে শীতজনিত রুগীর সংখ্যা বাড়েনি। এখনো স্বাভাবিক রয়েছে। এদিকে শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ৪২ হাজার কম্বল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে।

এইচআর

Link copied!