Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪,

ফেনীতে ডাকাতি প্রস্তুতি মামলায় ৫ জনের কারাদণ্ড

ফেনী প্রতিনিধি

ফেনী প্রতিনিধি

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪, ০৫:৪০ পিএম


ফেনীতে ডাকাতি প্রস্তুতি মামলায় ৫ জনের কারাদণ্ড

ফেনীতে ডাকাতি প্রস্তুতি মামলায় ৫ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতাউল হক দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জেলার সোনাগাজী উপজেলা চরদরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরসাহাভিকারী এলাকার নুর আলমের ছেলে মিজানুর রহমান প্রকাশ শেখ ফরিদ(৩৩), আবু তাহেরের ছেলে মো. জসিম উদ্দিন (৩৫), আবুল কাশেমের ছেলে  আব্দুস শুক্কুর (৩০), মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে জয়নাল আবেদীন হেলাল (৫০), লিয়াকত আলীর ছেলে রফিক (৩৪)।

এর মধ্যে ফরিদকে দণ্ডবিধির ৩৯৯ ধারায় ৩ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং দণ্ডবিধি ৪০২ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও  ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড।

জসিমকে দণ্ডবিধির ৩৯৯ ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং দণ্ডবিধি ৪০২ ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও  ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড। শুক্কুরকে দণ্ডবিধির ৩৯৯ ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং দণ্ডবিধি ৪০২ ধারায় ৬ সশ্রম কারাদণ্ড ও  ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড।

হেলালকে দণ্ডবিধির ৩৯৯ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং দণ্ডবিধি ৪০২ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও  ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড।

রফিককে দণ্ডবিধির ৩৯৯ ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং দণ্ডবিধি ৪০২ ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও  ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন আদালত।

রাস্ট্র পক্ষের আইনজীবী (এপিপি) মো.নুরুল ইসলাম মজুমদার সোহাগ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান,এ মামলার বাদী ও তদন্তকর্মকর্তা সহ ১০জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে এজাহারভুক্ত ১১ জন সহ মোট ১৪ জন আসামির মধ্যে বাকী ৯ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ঘটনার ঘটনার দিন একটি স্টিলের বাটযক্ত চাইনিজ চাপাতিনও একটি স্যামসাং মোবাইল সেটসহ হাতেনাতে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারকৃত ফরিদ ফরিদসহ ৩ জন পালাতক রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারের পর ওই বছরের ৮ জুলাই জেলার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুন্নেছার আদালতে নিজেসহ সাজাপ্রাপ্ত বাকি ৪ জনও এঘটনায় জড়িত ছিল বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে ফরিদ। পরবর্তীতে ১৬ মাস হাজতবাস শেষে জামিনে গিয়ে পালিয়ে যায় সে।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ০৭ জুলাই দিবাগত গভীর রাতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে জেলার সোনাগাজী উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরসাহবিখারী এলাকার সাহাব উদ্দিনের চা দোকান সংলগ্ন কালর্ভাটের উপর থেকে স্থানীয় মিজানুর রহমান প্রকাশ শেখ ফরিদ (৩৩) আটক করা হয়।

এঘটনায় পরদিন ০৮ জুলাই সকালে ১১ জনকে আসামি করে  সোনাগাজী মডেল থানার তৎকালীন এসআই সাইফুল ইসলাম বাদী হয় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১২৩/১৫। এর কয়েকমাস পর তদন্ত কর্মকর্তা ও এসআই মো. শাহ আলম মিয়া আরও ৩ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত ২০১৭ সালের নভেম্বরে মামলাটির অভিযোগ গঠন করেন।

এ মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দীন বাহার, সিরাজুল ইসলাম মিন্টু, কামরুল ইসলাম রাসেল ও হুমায়ুন কামাল।

এআরএস 

Link copied!