Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪,

চালের বাজারে অভিযানে মিলছেনা সুফল, এখনো বাজার চড়া

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪, ০৪:৫৬ পিএম


চালের বাজারে অভিযানে মিলছেনা সুফল, এখনো বাজার চড়া

কুষ্টিয়ার বাজারে একের পর এক অভিযান পরিচালনা করার পরেও সুফল মিলছে না চালের বাজারে। এখনো চড়া দামে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। ৩১ জানুয়ারি কুষ্টিয়ার খাজানগরে চালের মোকামে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার অভিযান চালিয়ে  চালের দাম নিয়ে কারসাজি বন্ধে মিলগেট মূল্য চালের বস্তায় লেখার নির্দেশ দেন।

এ সময় মিলাদের কিছু অনিয়ম মন্ত্রীর চোখে ধরা পড়লে কয়েকজন মিলার কে জরিমানা ও গুদাম সীল করা হয়। এদিকে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে মিলমালিক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের নিয়ে সভা করা হয় । 

এই সভায়   জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিনিকেট (সরু চাল) প্রতি কেজি ৬২ টাকা বিক্রির নির্দেশ দিলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি কুষ্টিয়ার চালের বাজারে। তার পরও এখনো সব ধরনে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের বাহিরে। সাধারণ ভোক্তারা অভিযোগ তুলেছেন চালের বাজার সঠিকভাবে মনিটরিং না কারায় চালের বাজার কমছে না।

শনিবার  সকালে কুষ্টিয়ার বড় বাজার ও পৌর বাজার এলাকার চাল ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, খাদ্যমন্ত্রীর অভিযানে চালের বাজার কিছুটা কমলেও এখনো ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে রয়েছে। মিনিকেট চাল (সরু চাল) বিক্রি হচ্ছে ৬৪ টাকা কেজি, কাজল লতা ৬০ থেকে ৬২  টাকা, গরিবের চাল মোটা ২৮ বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা। সাধারণ মিনিকেট ৬২ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। চাল ব্যবসায়ীরা জানান, চালের বাজার এর চেয়ে আর কমবে না। নতুন চাল উঠলে কিছুটা কমতে পারে। 

ভোক্তারা জানান, সরকারের সকল পদক্ষেপ ভালো হলেও বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। যার কারণে বাজারে একের পর এক চালের দাম বাড়লেও তা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ৫ টাকা বাড়লে কমানো হচ্ছে ২টাকা এভাবে হলে আমরা চাল কিনবো কি করে। 

দিন মজুর আক্কাচ আলী কুষ্টিয়া পৌর বাজারে চাল কিনতে এসে বলেন, চালের দাম কমতে দেখছি না। আমরা যা আয় করি তা দিয়ে চাল কিনবো না অন্য কোন বাজার করবো। বাজারে চালের যে দাম চাল কেনায় কষ্ট হচ্ছে। ফরিদ উদ্দিন চাল ব্যবসায়ী বলেন,  মিল গেটে চালের দাম না কমানো হলে বাজারে দাম কমবে কি করে। আমরা যে দামে মিল থেকে চাল ক্রয় করছি তা থেকে ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা লাভে বিক্রি করছি।

কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোহাম্মদ বাবুল হোসেন বলেন, আমরা লাইসেন্স অনুসারে খাদ্য মজুদ করা হচ্ছে কিনা তা তদরকি করছি। জেলার মিল এবং পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা কোন রকমের কারসাজি করছে কি না সেটা দেখা হচ্ছে। যদি কেউ করে থাকে তা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই কর্মকর্তার কথার সাথে বাজারের কোন মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। 

চালের বাজারে সঠিকভাবে মনিটরিং করা হলে চালের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম ছিল। কিন্তু দায়সারা  মনিটরিং এর ফলে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে গেছে। বেকায়দায় পড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ গুলো। তাই চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনের কঠিন থেকে কঠিনতর বাজার মনিটরিং করা প্রয়োজন বলে ভোক্তারা মনে করেন।

এইচআর

Link copied!