ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

কাউনিয়ায় অজানা ভাইরাসে সপ্তাহের ব্যবধানে ৭ গরুর মৃত্যু

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি

এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ০৪:১৬ পিএম

কাউনিয়ায় অজানা ভাইরাসে সপ্তাহের ব্যবধানে ৭ গরুর মৃত্যু

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় সপ্তাহের ব্যবধানে অজানা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এলাকার শতশত গরু ছাগল একই ভাইরাসের আক্রমণের শিকার হয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই অজানা এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গরু ছাগল। ইতোমধ্যে ৭টি গরুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। কী কারণে এসব গরুর মৃত্যু হচ্ছে তা এখনো জানা যায়নি।

তবে অনেকেই ধারণা খুরা রোগ, ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ ও হিট স্ট্রোক রোগে মৃত্যু হতে পারে।

খামারি ও চাষিরা জানিয়েছেন, প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসা না পেয়ে বাধ্য হয়ে তারা গ্রাম্য চিকিৎসক, কবিরাজ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছেন।

জানা গেছে, শহীদবাগ সাব্দী হইড্ডাপাড়া গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ৩টি, দেলওয়ার হোসেনের ১টি, আনোয়ারুল ইসলামের ১টি ও বালাপাড়া হলদীবাড়ী গ্রামের খলিল মিয়ার ২টিসহ ৭টি গরু মারা গেছে।

উপজেলার শহীদবাগ ও বালাপাড়া ইউনিয়নে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। চাষিরা জানায়, অসুস্থ হওয়ার পর গরু ছাগল ঠিক মতো খায় না। জ্বর-কাশিসহ বিভিন্ন উপসর্গে আক্রান্ত হয়ে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। এরপর হঠাৎ করেই মারা যাচ্ছে।

সাব্দী গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ১০টি ছোট ও মাঝারি খামারের গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। অনেক খামারি বাধ্য হয়ে অসুস্থ গরু অন্যত্র বিক্রি করেছেন ফলে এই রোগটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

শহীদবাগের খামারি পেয়ারী বেগম জানান, তার ২লাখ টাকা দামের ১টি গাভি ও ২টি বকনা বাছুর এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। তার অভিযোগ, যোগাযোগ করা হলেও প্রাণিসম্পদ বিভাগের কোনো লোক খামারে আসেননি।

একই গ্রামের জহুরুলের ৪টি, আ. বারির ২টি, আজিজুলের ১টি, সবুজ মিয়ার ২টিসহ প্রায় শতাধিক গরু ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজে আক্রান্ত হয়েছে।

তাদের অনেকের অভিযোগ, প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করে কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। তাই তারা পল্লী চিকিৎসক ও কবিরাজের দ্বারস্থ হচ্ছেন, কিন্তু তাদের ওষুধে তেমন কাজ হচ্ছে না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিদুল হক জানান, খুরা রোগের ভ্যাকসিন কেনার জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানায়, উপজেলাজুড়েই ওই রোগ দেখা দিয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুমি বেগম জানান, তিনি এ রোগ সম্পর্কে অবগত আছেন কিন্তু গরু মারা যাওয়ার বিষয়টি জানেন না। পশু আক্রান্তের আগেই ভ্যাকসিন নেয়ার পরামর্শ দিলেও চাষিরা তা মনে না।

তিনি জানান, গরমের সময় এই রোগটি বেশি হয়ে থাকে। এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে একটি টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে অবহিত করা হবে। বৃষ্টি অথবা শীত পড়লে এ রোগ কমে যাবে।

জেলা ভেটেরিনারি অফিসার ডা. মো. আমবার আলী, বলেন একসঙ্গে এতগুলো গরুর মৃত্যুর বিষয়টি খুবই দুঃখজনক, এখন পর্যন্ত কেন আমাদের লোক যায়নি সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে অবহিত করবো।

ইএইচ

Link copied!