টঙ্গীতে বসতবাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নারী-বৃদ্ধসহ আহত ৪

গাজীপুরের টঙ্গীতে বসতবাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নারীসহ চারজন আহত হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টা ৩০ মিনিটের সময় টঙ্গীর বনমালা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজ মোল্লার বসত ঘরে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

আহতরা হলেন, টঙ্গীর বনমালা এলাকার সিরাজ মোল্লা (৭৫), সিরাজ মোল্লার বড় মেয়ে রিনা বেগম (৪৩), রিনা বেগমের স্বামী শরীফ হোসেন (৫০) ও সিরাজ মোল্লার মেঝো মেয়ে রুনা বেগম (৩২)।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, টঙ্গীর বনমালা এলাকার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফরহাদ মোল্লা, তার পিতা আনসার মোল্লা ও ভাই রনি মোল্লাসহ আরও ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী বাঁশের লাঠি, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্রনিয়ে লুটপাট ও ক্ষতিসাধনের লক্ষে সিরাজ মোল্লার বসতবাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় বাড়ির প্রধান লোহার গেট ভাঙচুরের সময় সিরাজ মোল্লা বাধা দিলে আনসার মোল্লা ও তাদের সাথে থাকা সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা সিরাজ মোল্লার উপর হামলা করে। সিরাজ মোল্লাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তার বড় মেয়ে রিনা বেগম, রিনা বেগমের স্বামী শরিফ হোসেন ও মেঝো মেয়ে রুনা বেগম গুরুতর আহত হোন। পরবর্তীতে রুনা বেগমের স্বামী বাসায় এসে আহতদের চিকিৎসার জন্য শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়।

ভুক্তভোগী সিরাজ উদ্দিন মোল্লা বলেন, আনসার মোল্লা ও তার দুই ছেলে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। রাজনীতিকে হাতিয়ার বানিয়ে তারা এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে। আমার ছেলে জীবিত অবস্থায় এরাই ছলেবলে আমার ছেলের অর্থ আত্মসাৎ করেছে। এখন আমার ছেলে মারা যাওয়ার পর থেকে আমাদের সবকিছু ছিনিয়ে নিতে এই হামলা চালিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই পিশাচের দল আমার মেয়েদের উপর চড়াউ হলে আমি তাদের পায়ে ধরে আকুতি মিনতি করায় আমাদের প্রাণ ভিক্ষা দিয়ে ঘরের গুরুত্বপূর্ণ কাগজ, আমার সম্পত্তির দলিল, নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকারসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস লুটপাট করে নিয়ে যায়। আমি আইনের কাছে উপযুক্ত বিচার চাই।

সিরাজ মোল্লার মেয়ে রুনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার বৃদ্ধ বাবা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় আনসার মোল্লাসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী আমার বাবাকে বেধড়ক মারধর শুরু করলে আমি আমার বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা আমার উপর চড়াও হয় এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। আমাকেও পরিবারের অন্য সদস্যদের বাঁচাতে আমার বাবা আকুতি করলে তারা লুটপাট করে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে চলে যায়।

তবে এ ঘটনায় অভিযুক্তদের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।  

টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইএইচ