ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

মেহেরপুরে শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষ থেকে তুলে নিয়ে আছাড় মারার অভিযোগ

মেহেরপুর প্রতিনিধি

মেহেরপুর প্রতিনিধি

মে ৩০, ২০২৪, ০৩:৩৭ পিএম

মেহেরপুরে শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষ থেকে তুলে নিয়ে আছাড় মারার অভিযোগ

গায়ে ফুটবল লাগাকে কেন্দ্র করে বিশ্বনাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে শ্রেণিকক্ষ থেকে উঠিয়ে নিয়ে শূন্যে তুলে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মাহাবুবুল নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে মুজিবনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আহত রিজন বিশ্বনাথপুর গ্রামের মিরাজুল শেখের ছেলে।

স্থানীয়রা ও রিজনের সহপাঠীরা জানান, মঙ্গলবার বিকালে রিজন মাঠে ফুটবল খেলছিল। এ সময় রিজনের বল একই গ্রামের মহিবুলের ছেলে শাফিন (৮) এর গায়ে লাগে। এরপর বুধবার দুপুরে শাফিনের বাবা ও বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোবারক আলীর ভাগ্নে মহিবুল বিশ্বনাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসে ক্লাস রুম থেকে রিজনকে বের করে নিয়ে দু’পা ধরে ছুড়ে আছার মারে। পরে তাকে দু’পা ধরে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় ছেচরাতে থাকে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ইয়াসমিন খাতুন তাকে উদ্ধার করে। রিজনের পরিবার খবর পেয়ে তাকে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষে ভর্তি করে।

বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র সোহান ও তামিম বলেন, রিজন আমাদের সাথে বসে ছিল। ওই ভয়ংকর লোকটা এসে তাকে একটানে বের করে নিয়ে দু’পা ধরে শূন্যে তুলে ফেলে ছুড়ে ঘরের বাইরে ফেলে দেয়। এরপর আবার তার পা ধরে বিদ্যালয়ের সারা মাঠ ছেঁচড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়।

বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোবারক আলী বলেন, ঘটনাটা সামাজিকভাবে মিমাংসার চেষ্টা চলছে। তবে থানা থেকে এ বিষয়ে ফোন দিয়েছিলো আমরা কোন বক্তব্য দিইনি। তাই শাফিনের আত্মীয়স্বজন আমাকে বিদ্যালয়ে এসে শাসিয়েছে। শাসনের বিষয়টি আমি মুজিবনগর থানা, মেহেরপুর পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

বিদ্যালয়ের শহকারী শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক) শরিফুল ইসলাম বলেন, টিফিনের সময় রিজনকে ক্লাস থেকে বের করে নিয়ে কি করেছে আমি জানি না। সে সময় আমি অন্য ক্লাসে ছিলাম। বিষয়টি স্কুল কমিটিকে জানানো হয়েছে।

বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি মোছা. মর্জিনা খাতুন বলেন, বিদ্যালয় থেকে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। এখানে আমার মেয়ে পড়ে। বিদ্যালয়ে হট্টগোলোর খবর শুনে আমি এসেছি। এর বেশি কিছু আমি জানি না।

মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুপ্রিয়া গুপ্ত বলেন, রিজনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কোথাও কোথাও থেতলিয়ে গিয়েছে। তবে সে এখন আশঙ্কামুক্ত।

মুজিবনগর থানার ওসি উজ্জ্বল কুমার বলেন, রিজনের পরিবার মুজিবনগর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইএইচ

Link copied!