ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

জয়পুরহাটে কলেজ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে হত্যা মামলায় ২ জনের ফাঁসি

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

অক্টোবর ১৪, ২০২৪, ০৯:০২ পিএম

জয়পুরহাটে কলেজ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে হত্যা মামলায় ২ জনের ফাঁসি

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি  উপজেলার মাঝিনা গ্রামে কলেজ শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের পর হত্যা মামলায় রনি মহন্ত (৩২) ও কামিনী জাহিদকে (৩৪) মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে প্রত্যেকের ১ লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন আদালত।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ ও নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল  আদালতের বিচারক আব্দুল মোক্তাদির এ রায় দেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিতি ছিল।

বিষয়টি  সাংবাদিকদের  নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফিরোজা চৌধুরী পিপি।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো-  পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামের শঙ্কর মহন্তের ছেলে রনি মহন্ত (৩২) ও খোরশেদ আলীর ছেলে কামিনী জাহিদ (৩৪)।

মামলা সুত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৬মে রাতে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামে জয়পুরহাট সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীকে নিজ বাড়িতে  ধর্ষণের পর হত্যা করে। এসময় নিহতের পরিবারের লোকজন  বাড়িতে ছিলনা।  ওই ঘটনায়  নিহতের ভাই বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় মামলা করেন।   ৭মে রাতেই পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে।   ৮ মে রাতে গ্রেপ্তারকৃতরা জয়পুরহাট চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট  আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। রনি মহন্ত তার সহকর্মী জাহিদকে নিয়ে ৬ মে রাত ১টার দিকে ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীর বাড়ির দেয়াল টপকিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর সুযোগ বুঝে রাত ২ টার দিকে তারা ঘরে প্রবেশ করে এবং জোরপূর্বক ভিকটিমের পায়জামা খুলে বিবস্ত্র করে মুখ ও দুই হাত চেপে ধরে। প্রথমে রনি মহন্ত ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়। ভিকটিম চিৎকার করলে তার সন্ত্রম রক্ষার জন্য বাধা দেয় এবং রনির বুকে খামচিয়ে ধরে। তখন আসামিরা আয়েশার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে। এতে এক পর্যায়ে ভিকটিম বিছানায় নিস্তেজ হয়ে মৃত্যু বরণ করলে কামিনি জাহিদ মৃত দেহের উপর ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। 

সাথে জড়িত গ্রেপ্তারকৃত দু’জন আদালতে জবানবন্দীতে লোম হর্ষক বর্ণনা দিয়েছে। ধর্ষণের শিকার ওই মেয়েটি মৃত্যুর পরও রেহাই পাননি পাষণ্ডদের হাত থেকে। ৮ মে রোববার রাতে জয়পুরহাট চীফ জুডিশিয়াল আদালতে আসামি রনি মহন্ত ও কামিনি জাহিদ জবানবন্দীতে তারা সত্যতা শিকার করে লোম হর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন।

পরবর্তী সময়ে মামলার তৎকালীন তদন্তকারী ওসি তদন্ত হাবিবুর রহমান ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর  আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে সোমবার দুপুরে আদালতের বিচারক ও রায় দেন।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন  নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও শিশু আদালতের পিপি ফিরোজা চৌধুরী । আর আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান।

আরএস

Link copied!