ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad
স্কুলে গোপন কক্ষের সন্ধান

শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

আশিকুর রহমান হৃদয়, শরীয়তপুর

আশিকুর রহমান হৃদয়, শরীয়তপুর

মার্চ ১৪, ২০২৫, ০৫:১০ পিএম

শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে এক স্কুলশিক্ষক ও স্থানীয় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ও সহকর্মী নারীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত প্রতিভা সাইন্স প্রিপারেটরি (পিএসপি) হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নাঈমুল হাসান, যিনি উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

বিক্ষোভ ও সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও ফাঁস

বৃহস্পতিবার ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে সাবেক শিক্ষার্থীরা তার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

একইসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে নাঈমুল হাসানের স্কুলের নিজ কক্ষ থেকে যৌন উত্তেজক ওষুধ এবং এক শিক্ষিকাকে নিয়ে থাকা অবস্থার দৃশ্য উঠে আসে। এছাড়া, স্কুলের ভেতরে একটি গোপন কক্ষ পাওয়া গেছে, যেখানে শোবার বিছানাসহ ব্যক্তিগত ব্যবহারের বিভিন্ন সামগ্রী ছিল। স্থানীয়দের দাবি, সেখানে অসামাজিক কার্যকলাপ চালাতেন নাঈমুল হাসান।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, স্কুলে অধ্যয়নকালে অশালীন আচরণ ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। তারা বলেন— নাঈমুল হাসান ছাত্রীদের শারীরিক গঠন নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করতেন। ইচ্ছাকৃতভাবে শরীরে স্পর্শ করতেন এবং সহপাঠীদের সামনে অপমান করতেন। খেলাধুলার সময় নোংরা মন্তব্য করতেন এবং কারও অভিযোগ জানাতে বাধা দিতেন।

শিক্ষার্থীরা দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এবং বলেন, অতীতে তার বিরুদ্ধে ২০১৮, ২০২১ ও ২০২৩ সালেও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছিল।

একজন সাবেক শিক্ষিকা (নাম পরিবর্তিত) জানান— "দুই বছর চাকরি করেছি। একদিন প্রধান শিক্ষক আমাকে ফোন করে স্কুলে কিছু অভিযোগের কথা বলেন। পরে রেস্টুরেন্টে দেখা করতে বলেন। সেখানে গিয়ে দেখি, তিনি ব্যক্তিগত ও যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলছেন। তখন কৌশলে চলে আসি। পরে চাকরি ছাড়তে চাইলে আমাকে হুমকি দিতে থাকেন।"

বর্তমান ও সাবেক বেশ কয়েকজন শিক্ষিকাও নাঈমুল হাসানের অনৈতিক আচরণের বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছেন।

তারা অভিযোগ করেন— শিক্ষার্থীদের মতো শিক্ষিকাদেরও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। কেউ শাড়ি না পরলে লাইব্রেরিতে ডেকে অশালীন মন্তব্য করতেন। রাতে অনাকাঙ্ক্ষিত ফোন করতেন এবং ব্যক্তিগত কথা বলতেন। প্রতিবাদ করলে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিতেন এবং স্ট্যাম্পে সাক্ষর নিতেন।

গ্রেপ্তার ও আইনি প্রক্রিয়া

গত ১১ মার্চ অভিযুক্ত নাঈমুল হাসানকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, শরীয়তপুরের নেতাকর্মীরা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা ছিল এবং অপারেশন ডেভিল হান্টের মাধ্যমে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভেদরগঞ্জ থানার ওসি মো. পারভেজ হাসান সেলিম জানান, এখনও কেউ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয়রা জোরালোভাবে নিরপেক্ষ তদন্ত ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এবং প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ইএইচ

Link copied!