ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad
আটক ২

মাগুরায় ফের গণধর্ষণের শিকার তরুণী

মিরাজ আহমেদ, মাগুরা

মিরাজ আহমেদ, মাগুরা

এপ্রিল ৪, ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম

মাগুরায় ফের গণধর্ষণের শিকার তরুণী

মাগুরায় এক তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে মাগুরা সদর থানাধীন গাংনি পাটখালি এলাকায়।

পুলিশ ও আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দুই মাস আগে গাবতলার ঘোড়াদৌড়ের মেলায় ওই তরুণীর সঙ্গে আশিকুর রহমান হৃদয়ের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

গত ৩১ মার্চ (ঈদ উল ফিতরের দিন) আশিকুর রহমান হৃদয় তরুণীকে ফোন করে দেখা করতে বলেন। বিকেল ৩টার দিকে তারা দেখা করেন এবং নড়াইলের স্বপ্নপুরী পার্কে ঘুরতে যান। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে মেয়েটি হৃদয়কে অনুরোধ করেন তাকে বাড়ি পৌঁছে দিতে। তবে হৃদয় তাকে বাড়িতে না নিয়ে নিজের নানা বাড়ি গাংনি পাটখালি গ্রামে নিয়ে যান।

নানা বাড়িতে নেওয়ার পর হৃদয়ের মা, নানা-নানী মেয়েটির পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর রাত ১০টার দিকে আশিকুর রহমান হৃদয়, মো. হাসান শেখ ও ইমরুল শেখ তরুণীকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে ভয় দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর একাধিকবার ধর্ষণের পর তাকে শালিখা থানাধীন গঙ্গারামপুর এলাকার শফি মোল্যার বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায়।

রাতের অন্ধকারে অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটি শফি মোল্যার বাড়ির সামনে গিয়ে সাহায্য চাইলে স্থানীয়রা তাকে আশ্রয় দেন।

ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত হাসান শেখ ও ইমরুল শেখের সঙ্গে লিপি পারভীন ও নার্গিস খাতুনের পূর্বশত্রুতা থাকায় তারা কৌশলে মেয়েটিকে তাদের বাড়িতে ডেকে নেন। পরে অনুমতি ছাড়া তার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন।

পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত দুই আসামি লিপি পারভীন (৩৫) ও নার্গিস খাতুনকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে। তবে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজন এখনো পলাতক রয়েছে।

তরুণীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে এখনো মেয়েটির মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়নি।

শত্রুজিতপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনস্পেক্টর মো. পিয়ার উদ্দিন জানান, ২ এপ্রিল মাগুরা সদর থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় বেরইল পলিতা এলাকা থেকে লিপি পারভীন ও নার্গিস খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রেপ্তারদের জেল হাজতে রাখা হয়েছে।

এদিকে, পলাতক আসামি ইমরুল শেখ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অন্যান্য পলাতক আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ইএইচ

Link copied!