ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

ঈদের ছুটিতেও লালমোহন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে বিরামহীন সেবা

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি

এপ্রিল ৪, ২০২৫, ০৬:২৩ পিএম

ঈদের ছুটিতেও লালমোহন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে বিরামহীন সেবা

ভোলার লালমোহন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে গত ২৯ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৮ দিনের সরকারি ছুটি পেলেও প্রতিষ্ঠানের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা প্রসূতি মায়েদের নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, ঈদ উল ফিতরের ৮ দিনের ছুটির মধ্যে গত ছয় দিনে (২৯ মার্চ-৩ এপ্রিল) ৩০টি সফল ডেলিভারি সম্পন্ন করা হয়েছে।

চাঁদ রাত (৩০ মার্চ) রাত পৌনে ১২ টার দিকে উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ সাতানী গ্রাম থেকে স্বপ্না নামে এক প্রসূতি মাকে তার স্বজনরা নিয়ে আসেন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে। ঈদের দিন ভোরে তিনি সন্তান প্রসব করেন। স্বপ্নার স্বজনরা জানান, ঈদের সময়ে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিকে ডাক্তার-নার্স পাওয়া নিয়ে তারা চিন্তিত ছিলেন, তবে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র খোলা থাকার খবর পেয়ে তাদের দুশ্চিন্তা কেটে যায়। একইদিন সাতানী গ্রাম থেকে সোমা (২০) নামের আরেক প্রসূতি মাকেও এখানে আনা হয়।

ঈদের দিন (৩১ মার্চ) সকাল সোয়া ৭টায় উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের রায়রাবাদ গ্রাম থেকে নাহিদা (২২) নামে প্রসূতি মাকে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়ে আসেন তার স্বজনেরা। এদিন দুপুরে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড ওয়েস্টার্ন পাড়া থেকে ঝর্ণা (৩০) নামের আরেক প্রসূতি মাকে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা।

ঈদের দিনে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র খোলা থাকার কারণে তারা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। যাত্রীরা জানান, ঈদের দিনে চিকিৎসা সেবা পাওয়া নিয়ে তারা অনেক চিন্তিত ছিলেন, কিন্তু লালমোহন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র খোলা থাকায় তারা দুশ্চিন্তা মুক্ত হয়েছেন।

লালমোহন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) মিরা রানী দাস জানান, গত ২৯ মার্চ ৮টি, ৩০ মার্চ ৬টি, ৩১ মার্চ ৩টি, ১ এপ্রিল ৮টি, ২ এপ্রিল ১টি এবং ৩ এপ্রিল ৪টি সফল ডেলিভারি সম্পন্ন করেছেন তারা।

ভোলা জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান বলেন, লালমোহন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের কাজ প্রশংসনীয়, তারা ভালো কাজ করে। তবে, সারা ভোলায় কর্মী সংকট রয়েছে এবং ভোলায় কর্মী নিয়োগ হচ্ছে না।

এদিকে, প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে মেডিকেল অফিসার ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী নেই। তবুও, কর্তব্যরত চিকিৎসকরা প্রসূতি মায়েদের সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, এ জন্য সচেতন মহল তাদের সাধুবাদ জানিয়েছে। একইসঙ্গে, লালমোহন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে জনবল বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে।

ইএইচ

Link copied!