মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো
মে ৪, ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম
মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো
মে ৪, ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম
জলাবদ্ধতা নিরসনের উদ্দেশ্যে নির্মিত চট্টগ্রামের একটি কালভার্ট এখন স্থানীয়দের জন্য হয়ে উঠেছে গলার কাঁটা। ২৭ বছর ধরে একে অপরকে দোষারোপ করে কেউই কালভার্টটি পরিষ্কার করেনি। বর্ষা মৌসুমে এই কালভার্ট জলাবদ্ধতা কমানোর বদলে বরং সেটি সৃষ্টি করে দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
চট্টগ্রাম নগরীর শেখ মুজিব রোডে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় ২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় বক্স কালভার্টটি, যার প্রকৃত দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪ কিলোমিটার (পূর্বে দাবি করা হয়েছিল ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার)।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কালভার্টের মুখ আবর্জনায় বন্ধ হয়ে আছে এবং একমাত্র ম্যানহোলে নেমে দেখা যায়, চার থেকে পাঁচ ফুট পর্যন্ত আবর্জনা জমে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে যায় এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়ক ও দোকানপাট পানির নিচে থাকে। পাঠানটুলী এলাকার এক ব্যবসায়ী নুরুল আমিন বলেন, “বছরের পর বছর ধরে শুধু প্রতিশ্রুতি শুনে আসছি। আমরা চাই সমস্যার স্থায়ী সমাধান। দোকানে পানি ঢুকে ব্যবসা শেষ হয়ে যাচ্ছে।”
স্থানীয় গৃহবধূ রাবেয়া খাতুন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “শিশুরা রাস্তায় হাঁটতে পারে না। ময়লা পানিতে পড়ে নানা রোগ ছড়ায়। এটা কি কোনো সভ্য শহরের চিত্র হতে পারে?”
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) একাধিক প্রকৌশলী জানান, বক্স কালভার্টে যে ম্যানহোলগুলো রয়েছে, সেগুলোর দূরত্ব ৩০০ ফুটেরও বেশি হওয়ায় খননযন্ত্র ব্যবহার করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি কালভার্টের ভেতরে জমে থাকা মিথেন গ্যাস বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।
চসিকের জলাবদ্ধতা বিষয়ক উপদেষ্টা শাহরিয়ার খালেদ বলেন, “এত বছর পর এসে বোঝা যাচ্ছে, কালভার্টটি প্রকৃতপক্ষে ২.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। এছাড়া আবর্জনা পাম্প করে সরানোর যে পরিকল্পনা ছিল, সেটিও বাস্তবায়ন হয়নি।”
চসিক বর্তমানে নতুন করে কালভার্টটি পরিষ্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবে স্থানীয়রা দ্রুত ও কার্যকর সমাধানের দাবি জানাচ্ছেন।
ইএইচ