Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৭ মে, ২০২৫,

ববি’র উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে প্রশাসনিক দপ্তরে তালা

বরিশাল ব্যুরো

বরিশাল ব্যুরো

মে ৬, ২০২৫, ০৭:০১ পিএম


ববি’র উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে প্রশাসনিক দপ্তরে তালা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনের অপসারণের দাবিতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এবার সকল প্রশাসনিক দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সকল দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এর আগে ববির গ্রাউন্ড ফ্লোরে আধা ঘণ্টাখানিক বিক্ষোভ করে এক দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনকারীরা। এসময় তারা নানা স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা এবং পরবর্তীতে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়।

কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট শিক্ষকদের পুনর্বাসন, শিক্ষার্থীদের ২২টি দাবি বাস্তবায়ন না করা, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ায় উপাচার্যের অপসারণ দাবি করেন। সেইসাথে অবিলম্বে উপাচার্যের অপসারণ না হলে দক্ষিণাঞ্চল অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ছয় মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সমস্যা নিয়ে উপাচার্যের কাছে ২২ দফা দাবি দিয়েছিলাম। কিন্তু তা আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। জুলাই আন্দোলনে হামলাকারী শিক্ষার্থীদের অন্যতম শাহরিয়ার শানকে ছাত্রলীগ দরজা ভেঙে নিয়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনায় ববি প্রশাসন মামলা কোনো মামলা করেনি অথচ যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নামে মামলা করেছেন বর্তমান উপাচার্য। তিনি ফ্যাসিস্টের দোসরদের পুনর্বাসন করছেন। এসব ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান অংশীজন শিক্ষার্থীদের দাবির কথা তিনি আমলে নিচ্ছেন না।

আন্দোলনরত ববি শিক্ষার্থী আবদুর রহমান বলেন, ক্যান্সার আক্রান্ত ববি শিক্ষার্থী জেবুন্নেছা হক জিমি উপাচার্যের কাছে সহায়তার আবেদন করেও তা পায়নি। মাসের পর মাস আবেদনের কপি দপ্তরে পড়ে থাকলেও স্বাক্ষর করেননি উপাচার্য। অবশেষে সহায়তা না পেয়ে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে জিমির। আমরা তার সহপাঠী হয়েও কিছুই করতে পারলাম না। এমন অমানবিক উপাচার্য আমরা চাই না।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন দাবিতে গত ১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে চলমান আন্দোলন গত রোববার উপাচার্যের অপসারণে এক দফা দাবিতে রূপ নেয়। শিক্ষার্থীদের পক্ষে সাংবাদিকদের সামনে ১ দফা উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কোটা সংস্কার ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা সুজয় শুভ। এ আন্দোলনে ববি সকল সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সংহতি প্রকাশ করেছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের এক দফা দাবি সম্মানের সাথে মেনে না নিলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকবো। এতে ঢাকা পটুয়াখালী মহাসড়কে জনদুর্ভোগ হলে এর দায় উপাচার্য ড.শুচিতা শরমিনকে নিতে হবে বলেও জানান তারা।

আরএস
 

Link copied!