আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মে ২, ২০২৫, ১১:৫০ পিএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মে ২, ২০২৫, ১১:৫০ পিএম
কাশ্মীর ইস্যুতে দিল্লি-ইসলামাবাদের মধ্যে চরম উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে জরুরি বৈঠক করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।
শুক্রবার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনিরের নেতৃত্বে স্পেশাল কর্পস কমান্ডার্স কনফারেন্স (সিসিসি) অনুষ্ঠিত হয়।
জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বৈঠকে ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি, পাকিস্তান-ভারতের চলমান উত্তেজনা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা ভারতের যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর অটল সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেন। তারা হুঁশিয়ার করে বলেন, পেহেলগাম ইস্যুতে ভারত যদি যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করে, তবে তার দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।
সেনাসদস্যরা যেকোনো মূল্যে পাকিস্তানি জনগণের সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখার অঙ্গীকার করেন। বৈঠকে সেনাপ্রধান আসিম মুনির সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্ব, মনোবল ও প্রস্তুতির প্রশংসা করেন এবং সব সীমান্তে বাড়তি সতর্কতা ও সর্বোচ্চ প্রস্তুতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করছে ভারত। তবে পাকিস্তান হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের প্রস্তাব দিয়েছে।
এ ঘটনার পর ভারত আটারি সীমান্ত বন্ধ করে পাকিস্তানিদের ফেরত যেতে বলেছে, বাতিল করেছে সব ধরনের ভিসা এবং স্থগিত করেছে সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তান সিমলা চুক্তি স্থগিত, আকাশসীমা নিষিদ্ধ এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়, আমাদের থামাতে কেউ পারবে না। মোদি উত্তেজনা বাড়ানোর পথ বেছে নিলে, আমরা তাকে তার বাড়ি পর্যন্ত ধাওয়া করব।”
অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার পর থেকে প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের “রক্ত ফুটছে”। হামলাকারীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে এবং সীমান্তে যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় তিন বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত এখনো হামলার জোরালো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। ফলে তাদের প্রতিক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক সমর্থন পাওয়া কঠিন হতে পারে। তবে পারমাণবিক শক্তিধর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকলে তা সামাল দেওয়া কঠিন হতে পারে।
ইএইচ