সাঘাটায় তথ্য অধিকার আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী তথ্য না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ফাহাদ ইবনে সালামের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সাংবাদিক ইয়ামিন হাসান জানান, তিনি গত ১৭ মার্চ তথ্য অধিকার আইনের আওতায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একটি লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু আইন অনুযায়ী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য সরবরাহ করার বিধান থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো তথ্য প্রদান করা হয়নি।

তথ্য অধিকার আইন ২০০৯-এর ৭(১) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো তথ্যের আবেদন পাওয়ার ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য সরবরাহ করতে হবে। বিশেষ ক্ষেত্রে ১০ দিন অতিরিক্ত সময় নেওয়া গেলেও তা লিখিতভাবে আবেদনকারীকে জানাতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তথ্য দেওয়া হয়েছে, কোনো ব্যাখ্যা বা লিখিত ব্যর্থতার কারণ জানানো হয়েছে।

সাংবাদিক ইয়ামিন হাসান বলেন, “আইন থাকা সত্ত্বেও যদি একজন সরকারি কর্মকর্তা তথ্য না দেন, তাহলে জনগণের অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়। এটি সরাসরি আইন লঙ্ঘন।”

এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক ও সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, সাঘাটার খাদ্য অফিসে জবাবদিহিতার অভাব প্রকট এবং সেখানে ‘যা খুশি তাই’ নীতি চলছে।

খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ফাহাদ ইবনে সালামের সঙ্গে সরেজমিন কথা হলে তিনি আবেদনকারীকে চিঠির মাধ্যমে তথ্য দেওয়ার আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে তা বাস্তবায়ন করেননি। ফলে গত ২৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে আবেদনকারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর মো. আল কামাহ্ তমালের কাছে আপিল করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ্ তমাল জানান, “আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি। প্রয়োজনীয় তদন্ত করে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ইএইচ