কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
মে ৮, ২০২৫, ০৮:৩৫ পিএম
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
মে ৮, ২০২৫, ০৮:৩৫ পিএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটিতে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং নেতাকর্মী বহিষ্কারকে কেন্দ্র করে সংগঠনের ৫৬ জন নেতাকর্মী একযোগে পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রায়ান জোহান। এই ঘটনার পর কিশোরগঞ্জের ছাত্র রাজনীতিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
সংগঠনের সূত্রে জানা গেছে, জেলা কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মিয়া ও সংগঠক উল্লাসকে সংগঠনের আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন এবং সদস্য সচিব ফয়সাল প্রিন্সের স্বাক্ষরিত এক আদেশে বহিষ্কার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে ‘সাংগঠনিক নীতি ও আদর্শবিরোধী কার্যক্রম’-এর অভিযোগ আনা হয়।
এই বহিষ্কারের প্রতিবাদে ৮ জন যুগ্ম আহ্বায়ক, ৮ জন যুগ্ম সদস্য সচিব, ৪ জন সংগঠক, স্বাস্থ্য সেলের ৩ জন এবং ৩৩ জন সাধারণ সদস্যসহ মোট ৫৬ জন পদত্যাগ করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকে বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রায়ান জোহান বলেন, “গত ফেব্রুয়ারি মাসে জেলা কমিটি গঠনের পর থেকেই দায়িত্বশীলদের আচরণে দায়িত্বহীনতা, অন্যায় এবং দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসে। যাঁরা প্রতিবাদ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে বহিষ্কার করা হয়েছে। সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন ভাই এবং সংগঠক উল্লাস ভাইয়ের বহিষ্কার এই স্বেচ্ছাচারী আচরণেরই বহিঃপ্রকাশ। ফলে ৫৬ জন নেতাকর্মী প্রতিবাদস্বরূপ পদত্যাগ করেছেন।”
অপরদিকে, সংগঠনের আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন ও সদস্য সচিব ফয়সাল প্রিন্স সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া তথ্য অস্বীকার করে বলেন, “সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মিয়া, জুলাই আন্দোলনে সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলাকারীদের সঙ্গে লিয়াজো করে আমাদের না জানিয়ে মামলা করেছেন। মামলায় হামলাকারীদের বাদ দিয়ে ব্যক্তিগত আক্রোশে নিরীহ ব্যবসায়ী, মসজিদের ইমাম ও সাধারণ মানুষকে আসামি করা হয়, যার অডিও-ভিডিও প্রমাণও রয়েছে। তাই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের যে সংখ্যা বলা হয়েছে তা অতিরঞ্জিত এবং বিভ্রান্তিকর। প্রকৃতপক্ষে পদত্যাগ করেছে ৮-১০ জন, যাঁদের অনেকেই কমিটির সদস্যই নন।”
সংগঠনের অভ্যন্তরীণ এই সংকট কীভাবে সমাধান হবে, তা নিয়ে এখন ছাত্র রাজনীতির নানা মহলে আলোচনা চলছে।
ইএইচ