মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো
মে ১৪, ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম
মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো
মে ১৪, ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার সকালে বিমানবন্দর হয়ে অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছান।
তিনি বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ৫ নম্বর ইয়ার্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।
বক্তব্যে তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন, বিদেশি ব্যবস্থাপনার সম্ভাবনা এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এর ভূমিকা নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা করেন। এ সময় তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর চট্টগ্রাম বন্দরের বিষয়টি নিয়ে তিনি দুশ্চিন্তায় ছিলেন। তখন তিনি মনিরুজ্জামান নামে একজন কর্মকর্তার নাম জানতে পারেন—যিনি বন্দরের উন্নয়নে নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামানকে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “জামানের সাথে পরিচয় হয়ে আশ্বস্ত হচ্ছিলাম। বন্দরের পেছনে একজন লোক লেগে আছে। আমাদের দরকার তাকে একটু সাহায্য করা।”
প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্যের সময় চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামানের ঠোঁটে এক চিলতে মুচকি হাসি ধরা পড়ে।
বক্তব্যে আরও উল্লেখ করা হয়, মনিরুজ্জামানকে ঘিরেই গঠিত হয়েছে একটি টিম, যেখানে নৌ উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন, বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীসহ আরও অনেকে যুক্ত রয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টার এমন প্রকাশ্য ভরসা ও স্বীকৃতিকে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান বলেন, “যখন একজন সরকারপ্রধান কারও প্রতি ভরসা ও আশ্বস্ত হন, তখন তা কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি দায়িত্বশীলতা বাড়ায়, পাশাপাশি কাজের গতি ও মানও উন্নত হয়।”
চট্টগ্রাম বন্দরের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এই সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে তিনি আশাব্যঞ্জক বলে উল্লেখ করেন।
ইএইচ